মিয়ানমারে ভাষণে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি এড়ালেন পোপ

মিয়ানমার সফরকালে দেওয়া ভাষণে পোপ ফ্রান্সিস নিপীড়িত ‘রোহিঙ্গা’ মুসলিম সম্প্রদায়ের নামটি মুখে আনেননি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2017, 02:17 PM
Updated : 28 Nov 2017, 02:17 PM

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকের পর ভাষণ দেন পোপ।

ভাষণে তিনি সম্প্রীতির ডাক দিয়ে প্রতিটি জাতিসত্ত্বা ও জাতিগোষ্ঠীকে সম্মান দেখানোর আহ্বান জানালেও রোহিঙ্গা ও তাদের দুর্দশার কথাটি উল্লেখ করেননি।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে সমর্থন দেওয়ার জন্য পোপকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ করার আহ্বান জানিয়েছিল।

তবে পোপের সফরের আগে মিয়ানমারের ক্যাথলিক চার্চ তাকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, এ শব্দ ব্যবহার করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে।  

পোপকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করতে বলার পরামর্শটি দেন মিয়ানমারের কার্ডিনাল আর্চবিশপ চার্লস মোং বো।

মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে কখনই রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করে না। সংখ্যালঘু এই মুসলিম সম্প্রদায়কে তারা বিবেচনা করে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রায় চারমাস আগে সেনা অভিযান শুরু হওয়ার পর সেখান থেকে ৬ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে বর্ণনা করেছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, মিনায়মারের সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন করছে তা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।”

পোপ তার ভাষণে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি সরাসরি উচ্চারণ না করলেও জাতিগত অধিকারের পক্ষে অত্যন্ত জোরাল বক্তব্য রেখেছেন।

মিয়ানমার সফরের পর পোপ বাংলাদেশও সফর করবেন।

এ সফরের সময় শুক্রবার ঢাকায় রোহিঙ্গাদের একটি ছোট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পোপের দেখা করবার কথা রয়েছে।