তবে ২০০ কেজির ওজনের বাঘটির প্যারিসবিহার বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বাঘটির মালিকই পরে এটিকে গুলি করে হত্যা করেন।
লন্ডনের দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আইফেল টাওয়ার থেকে মাইলখানেক দূরে বাঘটি রাস্তায় কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করলেও এটি কাউকে আঘাত করেনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বাঘটি সার্কাসের দল থেকে বেরিয়ে একটি রেল স্টেশনে ঢুকে পড়লে নিরাপত্তারক্ষীরা সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ওই এলাকায় ট্রাম চলাচলও কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাঘটি যে সার্কাস দলে ছিল, ‘বোরমান মোরেনো’ নামের সেই দলের এক সদস্য জানান, তারা শটগান দিয়ে বাঘটিকে গুলির পর বিপদ কেটে যাওয়ার কথা টুইটারে জানিয়ে দেয় পুলিশ।
তবে মৃত বাঘের ছবি স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করছেন।
র্যালফ নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “বেশ বড় ছিল বাঘটি। আমি দুই-তিনটি গুলির শব্দ শুনেছি এবং পুলিশকে সেখানে যেতে দেখেছি।”
বাঘটি তার সার্কাসের চেনা গণ্ডি ছেড়ে কিভাবে বেরিয়েছিল তা জানা না গেলেও পুলিশ এর মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।
ফ্রান্সে অবশ্য সার্কাসে প্রাণী ব্যবহারে কোনো বিধিনিষেধ নেই।