আগামী সপ্তাহে জার্মানিতে অস্পষ্টতা কাটবে?

জার্মান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর এসপিডি দল সরকার গঠনের প্রশ্নে নমনীয় অবস্থান নিয়েছে৷ এই প্রশ্নে সদস্যদের ভোট নেওয়া হবে৷ আগামী সপ্তাহে সম্ভাব্য মহাজোট সরকারের তিন শীর্ষ নেতাকে একসঙ্গে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট৷

>> ডয়চে ভেলে বাংলাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2017, 06:42 PM
Updated : 24 Nov 2017, 06:42 PM

জার্মানিতে নির্বাচন-পরবর্তী অনিশ্চয়তা কাটাতে বৃহস্পতিবারের দিনটি ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷ এদিন জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার এসপিডি দলের প্রধান মার্টিন শুলৎসের সঙ্গে নিভৃতে আলোচনা করেন৷ তবে প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি৷

বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থায়ী সরকার গঠনের চাবিকাঠি এসপিডি দলের হাতে৷ এতদিনের অনমনীয় মনোভাব ছেড়ে এই দল চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের সঙ্গে মহাজোট সরকার গঠন করলে জার্মানির ক্ষমতাকেন্দ্রে অনিশ্চয়তা কাটতে পারে৷

শুলৎস শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ প্রায় আট ঘণ্টা ধরে আলাপ-আলোচনার পর এসপিডি দল জানিয়েছে, তারা নীতিগতভাবে অন্য দলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত৷

শুক্রবার শুলৎস বলেন, মহাজোট সরকারে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে এসপিডির সদস্যদের রায় নেওয়া হবে৷ কিন্তু তিনি এও বলেন, রায়ের ফলাফল ইতিবাচক হলেই এসপিডি সরকারের শরিক হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই৷

আপাতত প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার অন্যান্য দলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবেন৷ তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী এসপিডি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে৷ অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের আগে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷

 

এদিকে স্টাইনমায়ার আগামী সপ্তাহে সম্ভাব্য মহাজোট সরকারের তিন শীর্ষ নেতাকে একসঙ্গে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ সিডিইউ দলের আঙ্গেলা ম্যার্কেল, সিএসইউ দলের হর্স্ট সেহোফার এবং এসপিডির মার্টিন শুলৎস একসঙ্গে প্রেসিডেন্টের ডাক পাওয়ায় মহাজোট গঠনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে৷

নির্বাচনে দলের ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের পর এসিপিডি নেতা মার্টিন শুলৎস সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভোটারদের রায় মেনে তার দল বিরোধী আসনে বসবে, এবার আর মহাজোট সরকারের অংশ হবে না৷

জামাইকা জোট গঠনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরেও তিনি নিজের অবস্থানে অটল ছিলেন৷ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর দলকে সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে হল৷ ফলে শুলৎস পদত্যাগ করবেন, এমন গুজব শোনা যাচ্ছিল৷

কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে৷ নিজের মুখরক্ষা করে নতুন পরিস্থিতিতে দলের মধ্যে সমর্থন আদায় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে৷

এসপিডি অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় রাজি হলেই যে দ্রুত মহাজোট সরকার গঠন করা সম্ভব হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তাও দেখা যাচ্ছে না৷ ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির শুরু থেকেই এসপিডির জন্য দরজা খোলা রেখেছে৷ এবার তাদেরই প্রথম উদ্যোগ নিতে হবে৷

মহাজোটের পাশাপাশি অন্য একটি বিকল্পের কথাও এসপিডি মহলে শোনা যাচ্ছে৷ ইউনিয়ন শিবিরের দুই দল মিলে মন্ত্রিসভা গঠন করলে এসপিডি সেই সংখ্যালঘু সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দিতে পারে৷ তবে ম্যার্কেল এমন সমাধানসূত্র মেনে নেবেন, তা মনে করা কঠিন৷