বিবিসি জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুক্রবার পিস্টোরিয়াসের কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করেছে। এরইমধ্যে ভোগ করাদণ্ড বাদ দিয়ে যা ১৩ বছর পাঁচ মাস হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইনে খুনের সর্বনিম্ন সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ড।
রায় ঘোষণার সময় ‘ব্লেডরানার’ নামে খ্যাত এই দৌড়বিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাথরুমের বন্ধ দরজায় পিস্টোরিয়াসের ছোড়া গুলিতে নিহত হন তার বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পক। গুলি স্টিনক্যাম্পের মাথা, বাহু আর নিতম্বে লাগে। পরে বাথরুম থেকে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পরের বছর অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত পিস্টোরিয়াসকে অনিচ্ছাকৃত নরহত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
তখন আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল,পিস্টোরিয়াসের বিরুদ্ধে স্টিনক্যাম্পকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অনিচ্ছাকৃত নরহত্যার অভিযোগে তাকে দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছে।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে এবং ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়, অনিচ্ছাকৃত নরহত্যা নয় বরং স্টিনক্যাম্পকে জেনেশুনেই হত্যা করেছিলেন পিস্টোরিয়াস।সেইসঙ্গে তার কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়।
যদিও দুইমাস আগেই কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে যান পিস্টোরিয়াস; তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী বিশেষক্ষেত্রে কারাদণ্ডের মোট মেয়াদের ছয় ভাগের এক ভাগ কারাগারে কাটানোর পর ‘সংশোধনমূলক তত্ত্বাবধানে’ গৃহে অন্তরীণ থাকার শর্তে মুক্তি দেওয়া যায়।
স্টিনক্যাম্পকে হত্যার দায়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড ‘আপত্তিকরভাবে কম’ দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আপিল বিভাগে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
শুক্রবারের রায়ে দারুণ খুশি স্টিনক্যাম্পের পরিবার পক্ষ থেকে বলা হয়, এই রায় ‘প্রমাণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনও ন্যায়বিচার পাওয়া যায়’।