গত সপ্তাহে কম্প্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার টেস্ট ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিটিবিটিও) ওই শব্দ শণাক্ত করে, বৃহস্পতিবার তারা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীকে দেয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
পরে আর্জেন্টিনার শহর মার দেল প্লাতার নৌ ঘাঁটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন এনরিক বালবি জানান, সিটিবিটিও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে ‘অস্বাভাবিক, একক, ক্ষণস্থায়ী, অপারমাণবিক কিন্তু তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ পায়’।
১৫ নভেম্বর ওই এলাকা থেকেই শেষ যোগাযোগ করেছিল ডুবোজাহাজ সান জুয়ান। ৪৪ ক্রুর জাহাজটি সেসময় আর্জেন্টিনার পাতাগোনিয়া উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে জানায় আর্জেন্টিনার নৌবাহিনী।
বিবিসি বলছে, ‘বিস্ফোরণের শব্দ’ পাওয়ায় ক্রুদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ক্রুদের আত্মীয় স্বজনরাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ক্রুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনার কথা বলে নৌবাহিনী আগে মিথ্যাচার করেছে বলেও অভিযোগ স্বজনদের।
অনেকেই বলছেন, পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাব ও সামরিক বাহিনীতে দুর্নীতির কারণে নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজগুলো অনিরাপদ হয়ে উঠছে।
নিখোঁজ ক্রু দামিয়ানের মা লুইজ তাগলিয়াপিয়েত্রা স্থানীয় একটি রেডিওকে বলেন, সাগরের ২০০ মিটার গভীরে কোনো বিস্ফোরণ ঘটলে সব ক্রু মারা যেতে পারেন বলে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন।
আটলান্টিকের যে অংশে ‘বিস্ফোরণের শব্দ’ পাওয়া গেছে নৌবাহিনী এখন সেখানে গভীর অনুসন্ধান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নিখোঁজের দু’দিন পর গত শুক্রবার থেকে ডুবোজাহাজটি খুঁজতে জোর তৎপরতা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়াসহ ডজনের বেশি দেশ উদ্ধারের ঘটনায় সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেছে।