বৃহস্পতিবার তাকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
২০০৮ সালে ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এই সাঈদই ছিল বলে দাবি ভারত সরকারের।
সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে সাঈদকে ধরার জন্য এক কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রও।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গত জানুয়ারি থেকে পাকিস্তানে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের আবেদনে আদালত সাঈদকে গৃহবন্দি করে রাখার রায় দেয়।
পরে প্রাদেশিক সরকারের পক্ষ থেকে লাহোর হাইকোর্টে সাঈদের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়ানোর আবেদন করা হলেও আদালত তা নাকচ করেছে।
লাহোর হাইকোর্টের রিভিউ বোর্ড পাঞ্জাব সরকারকে হাফিজ সাঈদকে আটক রাখার জন্য তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার আদেশ দিলেও সরকার তা উপস্থাপন করতে পারেনি।
ফলে আদালত রায়ে বলেছে, সাঈদের বিরুদ্ধে কোনও যুক্তি-প্রমাণ না থাকায় তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
হাফিজকে গৃহবন্দি রাখার পূর্ববর্তী ৩০ দিনের মেয়াদও এরই মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবারই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন।
মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন হাফিজ সাঈদ।
সাঈদের দাবি, তিনি জেইউডির সঙ্গে যোগ দিয়ে সেবামূলক কাজ করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জামাত-উদ-দাওয়ার (জেইউডি) সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার যোগ আছে। তবে হাফিজের ভাষ্য, তিনি আর লস্কর-ই- তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত নন।
লস্কর-ই-তৈয়বার মাধ্যমে পাকিস্তান সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে ভারত। ১৯৯০ এর দশকে এই হাফিজ সাঈদই এ জঙ্গি গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।