পারমাণবিক দুর্ঘটনার কথা অস্বীকার রাশিয়ার

‘উচ্চমাত্রার’ তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হওয়া সত্বেও নিজেদের ভূখণ্ডে কোনো পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে রাশিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2017, 06:17 AM
Updated : 22 Nov 2017, 06:18 AM

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার উরাল পবর্তমালা এলাকায় তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ রুথেনিয়াম-১০৬ এর দূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় এক হাজারগুণ বেশি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

একটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, এমন প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর রাশিয়া থেকে আসা সরকারি তথ্যেও তার সমর্থন মিলেছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে।

৯ নভেম্বর ফ্রান্সের পারমাণবিক নিরাপত্তা সংস্থা আইআরএসএন জানিয়েছিল, তেজস্ক্রিয় দূষণের ফলে তৈরি হওয়া একটি মেঘ ইউরোপের আকাশে শনাক্ত হয়েছে এবং এতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাশিয়া অথবা কাজাখস্তানের কোনো একটি পারমাণবিক স্থাপনার ফুটো দিয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে। 

কিন্তু এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করেনি রাশিয়া বা কাজাখস্তান।

রাশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ রশিড্রোমের প্রতিবেদনটিই রাশিয়া থেকে প্রকাশিত প্রথম সরকারি প্রতিবেদন যা ফ্রান্সের প্রতিবেদনটিকে সমর্থন করছে।

রশিড্রোম জানিয়েছে, উরাল পর্বতমালার দক্ষিণাংশে তাদের দুটি স্টেশন সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে ওই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপটির ‘অত্যন্ত উচ্চমাত্রার দুষণ’ শনাক্ত করেছে।

কাজাখস্তান সীমান্তের অদূরে রাশিয়ার চেলিয়াবিংক্স অঞ্চলের মায়াক পারমাণবিক স্থাপনার নিকটবর্তী স্টেশনটি আগের মাসের তুলনায় ৯৮৬ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা শনাক্ত করেছে বলে রশিড্রোমের প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে এতে দুষণের উৎস সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

রাশিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত পারমাণবিক কোম্পানি রোসাটোমের মালিকানাধীন মায়াক পারমাণবিক জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়া করার বিশাল একটি স্থাপনা। রুথেনিয়াম-১০৬ এর মাত্রাবৃদ্ধির ঘটনাটির উৎস তারা নয় বলে দাবি করেছে মায়াক; আর রোসাটোম বলেছে, তাদের কোনো স্থাপনায়ই কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। 

১৯৫৭ সালে এই মায়াক স্থাপনার একটি বর্জ্যগুদামে বিস্ফোরণ ঘটে বড় ধরনের একটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল।