সোমবার সকালে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর বাসায় দলটির ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এমন ইঙ্গিত মিলেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ওয়ার্কিং কমিটিই কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ। ভারতের নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই দলটিকে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হবে। সে কারণেই ওয়ার্কিং কমিটির এ বৈঠক।
কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজওয়ালার বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বৈঠকে দলের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে রাহুলের নাম প্রস্তাব করেছে ওয়ার্কিং কমিটি এবং তা গৃহীতও হয়েছে।
কংগ্রেস জানিয়েছে, ১ ডিসেম্বর সভাপতি পদের নির্বাচনের বিজ্ঞাপ্তি জারি করা হবে, আর ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে।
১১ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ওই দিনই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
১৬ ডিসেম্বর সভাপতি পদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে এবং ১৯ তারিখ গণনা ও ফলপ্রকাশ করা হবে।
৪ তারিখের মধ্যে অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়ন জমা না দিলে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হবেন রাহুল। সেদিনই সভাপতি হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
এনডিটিভি জানিয়েছে, কংগ্রেস দলীয় নেতারা দলের শীর্ষ পদটিতে রাহুলকেই বসাবেন এবং দলের অন্য কেউ তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন না, সাধারণভাবে এমন ধারণা প্রচলিত থাকায় ওই নির্বাচন ঘোষণাকে নিছক আনুষ্ঠানিতা হিসেবে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
৪৭ বছর বয়সী রাহুল বর্তমানে কংগ্রেসের সহসভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে দলপ্রধান হওয়ার অপেক্ষায় থাকা রাহুল মা সোনিয়া গান্ধীর মতোই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে দলের হাল ধরবেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। সোনিয়া ১৭ বছর ধরে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাহুল কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটাভুটি ৯ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
৭০ বছর বয়সী সোনিয়া গান্ধী ১৯৯৮ সাল থেকে দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনিই দলটির সবচেয়ে বেশি দিন ধরে দায়িত্ব পালন করা সভাপতি।