বেপরোয়া পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারবেন না ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘অবৈধভাবে’ কোনও দেশে পরমাণু অস্ত্র হামলার নির্দেশ দিলে তাতে বাধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরমাণু বিষয়ক শীর্ষ মার্কিন কমান্ডার এয়ার ফোর্স জেনারেল জন হাইটেন।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2017, 04:25 PM
Updated : 19 Nov 2017, 04:25 PM

ইউএস স্ট্রাটেজিক কমান্ডের প্রধান হিসেবে  কানাডায় অনুষ্ঠিত হ্যালিফ্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোরামে এক ভাষণে একথা বলেন হাইটেন। এতে করে ট্রাম্পের বেপরোয়া পরমাণু যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা যেন অনেকটাই কমালেন তিনি।

হাইটেন বলেন, তিনি পরমাণু হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিয়েছেন এবং আশা করছেন এর বৈধ বিকল্প পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।

একজন প্রেসিডেন্ট পরমাণু হামলার নির্দেশ দিতে পারেন কি-না তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে আলোচনা শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই হাইটেন বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সিনেটরদের কয়েকজনের আশঙ্কা, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথার লড়াই পরিস্থিতিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে এবং ট্রাম্প দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত সেখানে পরমাণু হামলার নির্দেশ দিয়ে দিতে পারেন।

যদিও অন্যদের মতে, আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াই প্রেসিডেন্টের এ ধরনের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা থাকা উচিত।

গত ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে এ ধরনের একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।

অগাস্টে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠলে তিনি উত্তর কোরিয়ার উপর ‘আগুনের বৃষ্টি বর্ষণ’ করবেন।

এ বিষয়ে হাইটেন বলেন, “আমাদেরকে এটি নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। যখন আপনার ওপর এ ধরনের দায়িত্ব আছে, তখন কিভাবে আপনি এটি নিয়ে চিন্তা না করে পারবেন?”

গত মাসে সিনেট পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান সিনেটর বব করকার ট্রাম্পের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রকে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন’।

জেনারেল হাইটেন বলেন, “আমি প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেব এবং তিনি নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমাকে জানাবেন।

“যদি আপনি বেআইনি কোনও নির্দেশ দেন, আপনাকে কারাগারে যেতে হবে। আপনাকে কারাগারেই বাকি জীবন কাটাতে হতে পারে।”

হাইটেনের এই মন্তব্যের বিষয়ে এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে কিছু বলেননি ট্রাম্প।