যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সম্পর্ক স্থগিতের’ হুমকি পিএলওর

ওয়াশিংটন ডিসির কার্যালয় বন্ধ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক স্থগিত করা হবে বলে সতর্ক করেছে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2017, 09:40 AM
Updated : 19 Nov 2017, 09:41 AM

শনিবার টুইটারে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সায়েব এরেকাত যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের পদক্ষেপকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ অ্যাখ্যা দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। 

১৯৯৪ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে কার্যালয় খোলে পিএলও, যাকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধি মনে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তারপর থেকে এবারই প্রথমবারের মতো কার্যালয় পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ছয় মাস মেয়াদি লাইসেন্স নবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি নেতারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কথা বলায় লাইসেন্স নবায়ন না করার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরপরও পিএলও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম চালালে তা বেআইনী হবে।

সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ‘বসতি স্থাপন ও আগ্রাসনে জড়িত থাকার’ অভিযোগে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে আইসিসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।    

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলীদের বিষয়ে তদন্ত করতে আইসিসিকে চাপ দিতে পারে না বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিন ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি ও অর্থবোধক মধ্যস্থতার’ চেষ্টা করছে মনে হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে পিএলওর কার্যালয় পুনরায় পরিচালনার অনুমোদন দিতে পারেন এবং এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের হাতে ৯০ দিন সময় আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপে ‘চরম বিস্মিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

“শান্তি প্রক্রিয়া ও আরব-মার্কিন সম্পর্কের জন্য এটি বিপজ্জনক,” বলেছেন তিনি।

পিএলওর সাধারণ সম্পাদক এরেকাতের ধারণা, ইসরায়েলের সরকারই ট্রাম্প প্রশাসনকে চাপ দিয়ে এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।

“এমন একটা সময়ে এ পদক্ষেপ এলো যখন আমরা চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে চেষ্টা করছি,” বলেন তিনি।

ইসরায়েল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, কার্যালয় নিয়ে সিদ্ধান্ত মার্কিন আইনের বিষয়। 

কয়েক দশক ধরে পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের অভিযোগ করে আসছে ফিলিস্তিন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ভেস্তে যায়, এরপর থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ার কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে আছে।