লেবাননে ফিরে ‘অবস্থান স্পষ্ট’ করবেন সাদ হারিরি

সৌদি আরব সফরে গিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দেওয়া লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরি বলেছেন, বৈরুতে ফিরে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন তিনি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2017, 07:11 AM
Updated : 19 Nov 2017, 07:24 AM

শনিবার ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাদ একথা বলেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

“লেবাননের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়ে আমি আসছে দিনগুলোতে বৈরুতে ফিরে যাবো, স্বাধীনতা উদযাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবো, সেখানেই প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সঙ্গে বৈঠকের পর আমি আমার অবস্থান জানাবো,” প্যারিসে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন সাদ।

সম্মেলনে সাদ মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করায় ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে ধন্যবাদ জানান।

বুধবার লেবাননের স্বাধীনতা দিবসের দিন সাদের বৈরুতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এক টুইট বার্তায় লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনও ‘বুধবার সাদ বৈরুত ফিরবেন’ বলে জানিয়েছেন। সাদ প্যারিস থেকে তাকে ফোন করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

তবে বৈরুতে ফেরার আগে সাদ আরব দেশগুলোতে ‘সংক্ষিপ্ত সফর’ করতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন তার রাজনৈতিক দল ফিউচার মুভমেন্টের সাংসদ ওকাব সাকর। 

৪ নভেম্বর রিয়াদ থেকে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন বার্তায় নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী। তার এ ঘোষণা লেবাননকে নতুন করে রাজনৈতিক সঙ্কটে ফেলে, মধ্যপ্রাচ্যের দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বি সৌদি আরব ও ইরানের চলমান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করে। 

পদত্যাগের ঘোষণায় হিজবুল্লাহ ও ইরানকে দায়ী করেছিলেন সাদ। তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়াতেই সাদের পদত্যাগের ঘোষণা।

হিজবুল্লাহর অভিযোগ ছিল, রিয়াদ সাদকে আটকে রেখে পদত্যাগের ঘোষণা আদায় করে নিয়েছে। সৌদি আরব তা অস্বীকার করে। সাদ নিজেও তার ‘চলাচল সীমিত নয়’ বলে দাবি করেন। 

এর মধ্যেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আকস্মিক সফরে সৌদি আরবে গিয়ে দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করে লেবানন পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। তার আমন্ত্রণেই শনিবার প্যারিসে যান সাদ।

সৌদি আরব ও লেবাননের সঙ্গে ফ্রান্সের সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ম্যাক্রোঁ সাদকে রিয়াদ থেকে প্যারিসে নিয়ে আসতে ও লেবানন সঙ্কট সমাধানের পথ বের করতে সক্ষম হলেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা, একে ফরাসী প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেই দেখছেন তারা।