ওই ডুবোজাহাজটির ক্রুরা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বলে ধারণা দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শনিবার এই সঙ্কেতগুলো শনাক্ত হওয়ার পর নিখোঁজ ডুবোজাহাজটির ৪৪ জন ক্রুকে আবার জীবিত ফিরে পাওয়ার আশা জেগেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আর্জেন্টিনার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই দিন সকাল ও দুপুরের দিকে চার থেকে ৩৬ সেকেণ্ডের ওই সঙ্কেতগুলো শনাক্ত করা হয়েছে।
খারাপ আবহাওয়ার জন্য ওই স্যাটেলাইট কলগুলো ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
কলগুলো কী ধরনের ছিল তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। তবে সাগরতলে কোনো ডুবোজাহাজ সঙ্কটে পড়লে সাধারণত একটি পথনির্দেশক (ইপিআইআরবি) ভাসিয়ে থাকে, যেটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সঙ্কেত পাঠাতে সক্ষম। এসব সঙ্কেত যে ধরনের কিছু কি না তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
স্যাটেলাইট কম্যুনিকেশনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একটি মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে মিলে আর্জেন্টিনা ডুবোজাহাজ এআরএ সান জুয়ানের অবস্থান খুঁজে বের করতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি নিখোঁজ ডুবোজাহাজটির খোঁজে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক সার্চ মিশন। কিন্তু ঝড়ো বাতাস ও প্রায় ২০ ফুট উঁচু ঢেউয়ের কারণে আন্তর্জাতিক এই প্রচেষ্টা ব্যহত হচ্ছে।
শেষবার বুধবার সকালে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের আর্জেন্টিনার উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে থাকার সময় জার্মানির তৈরি ডুবোজাহাজ সান জুয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল।