গুজরাটের ভোটের আগেই কংগ্রেস সভাপতি হচ্ছেন রাহুল?

গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাহুল গান্ধী সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হতে পারেন বলে আলোচনা চলছে দেশটির গণমাধ্যমে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2017, 04:58 AM
Updated : 19 Nov 2017, 05:20 AM

এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলপ্রধান নির্বাচনের তারিখ ঠিক হতে পারে।

ওয়ার্কিং কমিটিই কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ। ভারতের নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই দলটিকে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হবে। সে কারণেই ওয়ার্কিং কমিটির এ বৈঠক।

গত ১৭ বছর ধরে টানা সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সোনিয়া গান্ধী সোমবার সকালের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন; সভাপতি হিসেবে এটাই তার শেষ সভা হতে যাচ্ছে বলে ধারণা দিয়েছে এনডিটিভি।

রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকেই ওয়ার্কিং কমিটির ২৫ সদস্য দলপ্রধান নির্বাচনের তারিখ ঠিক করবেন।

এনডিটিভি লিখেছে, একে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে, কেননা দীর্ঘদিন ধরে দলপ্রধান হওয়ার অপেক্ষায় থাকা রাহুলও মায়ের মতোই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা।

আগামী সপ্তাহ থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলপ্রধান পদে প্রার্থী হতে আগ্রহীদের আবেদন নিতে পরামর্শ দিয়েছে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। একের বেশি আবেদন জমা পড়লে ৮ ডিসেম্বর হবে ভোট, এরপরই জানা যাবে নতুন সভাপতির নাম।

“যদি একটি আবেদনই পড়ে তাহলে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনই সভাপতির নাম ঘোঘণা করা হবে,” শনিবার সাংবাদিকদের বলেন কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদি।

সে হিসেবে ৯ ডিসেম্বর গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটের আগেই রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে যেতে পারেন।

গত মাসে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোনিয়া গান্ধীও রাহুলের পদোন্নতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

৭০ বছর বয়সী সোনিয়া গান্ধী ১৯৯৮ সাল থেকে দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনিই দলটির সবচেয়ে বেশি দিন ধরে দায়িত্ব পালন করা সভাপতি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসুস্থতার কারণে তাকে জনসম্মুখে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না; চিকিৎসার জন্য এ বছর তিনি একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বলে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। 

২০১৩ সালে সহসভাপতি হওয়ার পর থেকেই রাহুল দলের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। গত বছরের নভেম্বরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি রাহুলের পদোন্নতি নিয়ে আলোচনা করে এবং সভাপতি পদে তাকে ‘সর্বসম্মত ও জোরালোভাবে’ সমর্থন জানায়।