বিবিসি জানায়, সিঙ্গাপুর কাস্টমস থেকে গত ৭ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানানো হয়।
৮ নভেম্বর থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে এবং নির্দেশ অমান্যকারীর জরিমানা অথবা সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
উত্তর কোরিয়া ষষ্ঠবারের মত পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর গত সেপ্টেম্বরে দেশটির উপর কঠোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আছে এমন দেশগুলোর উপর যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিচ্ছিল।
গত বছরের হিসাব অনুযায়ী সিঙ্গাপুর দেশটির অষ্টম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, যদিও তা উত্তর কোরিয়ার মোট বাণিজ্যের মাত্র ০ দশমিক ২ শতাংশ।
দেশটির অধিকাংশ বাণিজ্য চীনের সঙ্গে, তারা পিয়ংইয়ংয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী সমর্থকও।
যদিও গত অগাস্টে উত্তর কোরিয়া থেকে লৌহ, সিসা, কয়লা ও সামুদ্রিক খাবার আমদানি নিষিদ্ধ করেছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প থেকে সরে আসতে বাধ্য করতে চাইছে।
তবে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে সিঙ্গাপুর; দেশটিতে পিয়ংইয়ংয়ের দূতাবাসের কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে।