ঘন ধোঁয়াশায় আতঙ্ক দিল্লিতে

ঘন ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া মঙ্গলবারের সকাল ভারতের রাজধানী দিল্লির বাসিন্দাদের নতুন করে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2017, 04:33 PM
Updated : 7 Nov 2017, 04:33 PM

বিবিসি জানায়, এদিন নগরীর কোথাও কোথাও বায়ুদূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ সীমার ৩০ গুণ বেশি ছিল।

এ অবস্থায় ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) ‘জরুরি অবস্থা জারি করেছে’ এবং বায়ু দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনতে সরকারকে ‘সম্ভাব্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণের’ অনুরোধ করেছে।

দিল্লির বাসিন্দারা ভীতিকর এই আবহাওয়ায় মধ্যে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে তা পোস্ট করছে। তাদের প্রায় সবাই ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি এ পরিবেশে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলেও জানান।

আগামী ১৯ নভেম্বর দিল্লিতে যে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে তা বাতিলের পরামর্শও দিয়েছে আইএমএ।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার শিক্ষামন্ত্রীকে এ পরিস্থিতিতে কয়েক দিনের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলেছেন।

সাধারণত শীতকালে দিল্লির বাতাসে দূষিত উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণ, প্রতিবেশী পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে এসময় কৃষকরা তাদের জমির নাড়ায় আগুন ধরিয়ে জমি পরিষ্কার করে।

গত কয়েক বছর ধরে এ সময়ে দিল্লির বাতাস মারাত্মক পর্যায়ে দূষিত হয়ে পড়লেও কৃষকদের এভাবে জমি পরিষ্কার করা বন্ধে খুব কম ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবেশবাদীদের।

বাতাসের গতিবেগ হ্রাস, নির্মাণ ক্ষেত্রের ধূলা, রাজধানীতে আবর্জনা পোড়ানো এবং দিওয়ালির মৌসুমে বিপুল পরিমাণ আতশবাজি পোড়ানোও এ অবস্থার জন্য অনেকাংশে দায়ী।

এ সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এ বছর অক্টোবরে ভারত সরকার বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা বলেছে। যার মধ্যে এ সময় সড়কে যানবাহনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ, কয়লা ভিত্তিক বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা ইত্যাদি।

গত বছর এ সময়ে দিল্লিতে জোড়-বেজোড় নম্বরের ভিত্তিতে যথাক্রমে সড়কে যান চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়াও হয়েছিল।

কিন্তু বায়ু দূষণ কমাতে এসব উদ্যোগ খুব একটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি।

এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।