বিবিসি লিখেছে, এর মধ্য দিয়ে আধুনিক চীনের রূপকার মাও দেজংয়ের কাতারে উঠে এলেন শি।
২০১২ সালে পার্টির র্শীর্ষ পদে আসার পর থেকে ক্রমাগত নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করে তুলেছেন শি। পরের বছর চীনের প্রেসিডেন্ট হন তিনি।
কমিউনিস্ট পার্টির চলমান কংগ্রেসের শেষ পর্যায়ে মঙ্গলবার ‘শি জিনপিংয়ের চিন্তা’ গঠনতন্ত্রে স্থান দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে ভোট হয়। সেখানে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে প্রস্তাবটি পাস হয়।
গত সপ্তাহে কংগ্রেসের শুরুতে উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিন ঘন্টা ভাষণ দেন শি। ওই ভাষণে প্রথমবারের মতো ‘নতুন যুগে চীনা পদ্ধতির সমাজতন্ত্র’ নামের নিজের মতাদর্শ তুলে ধরেন তিনি।
এরপর থেকে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বারবার এই মতাদর্শের কথা তুলে ধরতে থাকে। ওই মতাদর্শকে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘শি জিনপিংয়ের চিন্তা’ হিসেবে।
বিবিসি লিখেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে শি নিজের প্রভাব পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন বলেই এ ঘটনায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগেও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা তাদের মতাদর্শ পার্টির গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালে গঠনতন্ত্রে একমাত্র মাও ছাড়া কারো মতাদর্শকেই ‘চিন্তা’ হিসেবে আলাদাভাবে বর্ণনা করা হয়নি।
ক্ষমতায় থাকাকালে মাওয়ের মতাদর্শের সঙ্গে তার নাম ও দেং শিয়াওপিংয়ের মৃত্যুর পর তার তত্ত্বের সঙ্গে তার নাম যুক্ত করা হয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গঠনতন্ত্রে।
বুধবার দুপুর নাগাদ কমিউনিস্ট পার্টি তাদের নতুন স্ট্যান্ডিং কমিটির নাম ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চীনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী এই কমিটিই আগামী পাঁচ বছর দেশটি পরিচালনা করবে।