পিয়ংইয়ংয়ের বাড়তে থাকা হুমকিসহ অন্যান্য সংকট সামাল দেওয়ার পক্ষে জনগণের রায় পেতে আবে গত রোববার আগাম নির্বাচন দেন।
তার ক্ষমতাসীন জোট পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে।এতে করে জাপানের সংবিধান সংশোধনের পথ প্রশস্ত হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী এর আগে দেশের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে সশস্ত্র বাহিনীকে উপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।কিন্তু সমালোচকরা এ পদক্ষেপকে জাপানকে পুনরায় সামরিকীকরণের নামান্তর বলে সমালোচনা করেন।
টোকিওয় এক সংবাদ সম্মেলনে আবে বলেন,নির্বাচনে তার জোটের জয় জনগণের কাছ থেকে ‘আস্থা ভোট’। “আমরা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নাটকীয়ভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে দেখিয়ে দেব- এর ভিত্তিতেই জনগণ এ ভোট দিয়েছে।
আবে বলেন, তিনি তিনটি পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন।ট্রাম্প আগামী মাসে জাপান সফর করবেন।ট্রাম্প ছাড়াও রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গেও আবে আলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “তারা উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর চাপ সৃষ্টি করবে।আর আমি জাপানের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করব।”
নির্বাচনের আগে আবে জয় পেলে তার দেশ যে সকল সংকটের মুখোমুখি হয়েছে তার সমাধান করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি ছিল উত্তর কোরিয়ার হুমকি।
আবে বলেন, নির্বাচনের আগে যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঠিক তেমনি উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকিাবিলা করাটাই হবে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
ইতোমধ্যে জাপানের ওপর দিয়ে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। এরপরই শুরু হয় আতঙ্ক।