ইরাকের শিয়া মিলিশিয়াদের বাড়িতে ফিরে যেতে হবে: টিলারসন

ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে লড়াইরত ইরান-সমর্থিত শিয়া বেসামরিক বাহিনীগুলোর সদস্যদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2017, 05:49 AM
Updated : 23 Oct 2017, 05:55 AM

লড়াই প্রায় শেষের দিকে থাকায় বিদেশি যোদ্ধাদের ইরাক ছেড়ে গিয়ে দেশটিকে পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, খবর বিবিসির।

সৌদি আরব সফরকালে এক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সৌদি আরব ও ইরাকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি যৌথ পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশটিতে গিয়েছেন তিনি। ইরাক ও সৌদি আরবের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সন্ত্রাস-বিরোধী তৎপরতা সমন্বয়ের লক্ষ্যে ওই যৌথ পরিষদটি গঠন করা হয়েছে। 

তবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিবিসি বলেছে, তার এ সফরের আংশিক উদ্দেশ্য মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বাড়তে থাকা প্রভাব হ্রাস করা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের প্রতি আরো কঠোর মনোভাব দেখানোর কথা ঘোষণা করার পর মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছেন তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধতা সত্বেও সেই একই শত্রুর বিরুদ্ধে একই যুদ্ধক্ষেত্রে ইরানিরাও লড়াই করছে।

আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইরাকি সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি ইরান-সমর্থিত ও তাদের তহবিলে প্রধানত শিয়া বেসামরিকদের নিয়ে গড়া পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটস্ও (পিএমইউ) লড়াই করছে।

২০১৪ সালে আইএসের জঙ্গিদের অভিযানের মুখে ভেঙে পড়েছিল ইরাকি সেনাবাহিনী। ওই সময় ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তেল সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে অবস্থান নেয় কুর্দিদের পেশমেরগা বাহিনী। গত সপ্তাহে পেশমেরগাকে হটিয়ে ওই অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে ইরাকি সরকারি বাহিনী, এই অভিযানেও পিএমইউর ভূমিকা ছিল।

কিন্তু ইরাকে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারের পর সেসব এলাকার সুন্নি বেসামরিকদের নির্যাতন ও হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে পিএমউভুক্ত কয়েকটি বাহিনীর বিরুদ্ধে। 

বিবিসিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টিলারসন চান এসব বেসামরিক বাহিনীতে থাকা ইরাকি শিয়াদের হয় ইরাকি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করা হউক অথবা তারা তাদের অস্ত্র নামিয়ে রেখে বাড়িতে ফিরে যাক; অপরদিকে বাহিনীগুলোতে থাকা ইরানিরা তাদের দেশে ফিরে যাক।

আইএসের সঙ্গে লড়াই শেষে এটি ইরাককে তার নিজের পায়ে দাঁড়াতে সহায়তা করবে এবং দেশটিতে ইরানের প্রভাব কমাতেও সহায়তা করবে বলে মন্তব্য করেছেন টিলারসন।

সৌদি আরব সফর শেষে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধে জড়িয়ে পড়া কাতারে সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।