সরাসরি ট্রাম্পের নাম মুখে না আনলেও পরোক্ষোভাবে দুই সাবেক প্রেসিডেন্টই তার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
ওবামা ‘বিভক্তি’ ও ‘শঙ্কার’ রাজনীতি পরিহার করতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ওদিকে, বুশ 'জনজীবনে কুসংস্কার ও গুন্ডামির’ সমালোচনা করেছেন।
তারা বক্তব্য রেখেছেন আলাদা আলাদাভাবে। ট্রাম্পের নামটিও মুখে নেননি। কিন্তু তাদের বক্তেব্যকে ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রচ্ছন্ন সমালোচনা হিসাবেই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ঐতিহ্যগতভাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টরা তাদের উত্তরসূরিদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেন না। তবে এবার ট্রাম্পকে নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট।
বারাক ওবামা ক্ষমতা ছাড়ার সময় বলেছিলেন তিনি ট্রাম্পের প্রতি সৌজন্য বজায় রাখবেন। যেমনটি তার প্রতি রেখেছিলেন তার পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশ।
কিন্তু ট্রাম্পের ওবামাকেয়ার বাতিল করাসহ, মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার মত নানা বিতর্কিত পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে ওবামা এই প্রথম মুখ খুললেন।
নিউ জার্সির নেওয়ার্কে ডেমোক্র্যাটিক দলের এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে ওবামা বলেন, “আমেরিকানদের বিশ্ববাসীর কাছে এই বার্তা দেওয়া উচিৎ যে, আমরা বিভাজনের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছি, শঙ্কার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছি।”
“শতাব্দি আগে আমরা বিভাজনের যে রাজনীতি দেখেছি সেই পুরনো রাজনীতি আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা এখন এমন রাজনীতি দেখছি যাতে মনে হচ্ছে আমরা বিছানায় পড়ে আছি। লোকেরা যেন ৫০ বছর আগের রাজনীতি দেখছে। এটি একবিংশ শতাব্দি, উনবিংশ শতাব্দি নয়।”
ওবামার এ ভাষণের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে নিউ ইয়র্কে আরেক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বুশ বলেন, “গোঁড়ামিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও অতিরঞ্জনে আমাদের রাজনীতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের পক্ষে সমর্থনের তীব্রতা হ্রাস পাওয়ার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে , বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।”