মারাউয়ি শহরকে জঙ্গিমুক্ত ঘোষণা করলেন দুতার্তে

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তে ইসলামিক স্টেটপন্থি (আইএস) জঙ্গিদের কাছ থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারাউয়িকে মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2017, 08:44 AM
Updated : 17 Oct 2017, 08:44 AM

ফিলিপিন্সের নিরাপত্তা বাহিনী বিদ্রোহী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর জোট দাওলা ইসলামিয়ার শীর্ষ দুই নেতাকে হত্যার পরদিন মঙ্গলবার দুতার্তের এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ।

দুতার্তের এই ঘোষণা সত্বেও দেশটির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০ থেকে ৩০ জন বিদ্রোহী এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা ২০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে।

সৈন্যদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় দুতার্তে বলেন, লড়াই শেষ হয়েছে এবং এখন ক্ষত সারানোর ও মারাউয়ি শহর পুনর্গঠনের সময়।

লড়াই শুরুর আগে ফিলিপিন্সের মিন্দানাও দ্বীপের এই শহরটিতে প্রায় দুই লাখ লোক বাস করতো। লড়াই শুরুর পর আতঙ্কিত অনেক বাসিন্দাই শহরটি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

শহরটিতে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে দুতার্তে বলেন, “আমি সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মারাউয়ি শহরের মুক্তি ঘোষণা করছি, এই ক্ষণটি থেকেই পুনর্বাসন শুরু হল।”

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আইএসের ‘আমির’ বলে কথিত ইসনিলন হ্যাপিলন এবং দাওলা ইসলামিয়ার দুই ‘খলিফার’ মধ্যে একজন ওমরখৈয়াম মউত সোমবার তাদের লক্ষ্য করে চালানো অভিযানে নিহত হয়েছেন এবং তাদের মৃতদেহ খুঁজে বের করে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আইএসের অনুগত দাওলা ইসলামিয়ার জঙ্গিরা মে মাসে থেকে টানা ১৪৮ দিন ধরে মারাউয়ি শহর দখল করে রেখেছিল। এ ঘটনা বহু বছরের মধ্যে ফিলিপিন্সের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সঙ্কটের জন্ম দিয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে উগ্রপন্থিদের ব্যাপ্তির বিষয়টিকে অবহেলা করে আসছিল ফিলিপিন্স সরকার, সেই সুযোগে ক্যাথলিক প্রধান দেশটির মুসলিম অধ্যুষিত অনুন্নত এলাকাগুলোতে শিকড় গেড়ে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে উগ্রপন্থিরা। 

দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রেস্তিতুতো পাদিলা জানিয়েছেন, লড়াই শেষ না হলেও অবশিষ্ট বিদ্রোহীরা ‘ছত্রভঙ্গ’ হয়ে গেছে এবং তারা আর কোনো হুমকি না।

এএনসি নিউজ চ্যানেলকে তিনি বলেন, “তাদের এখান থেকে বের হওয়ার কোনো পথ নেই এবং কারো এখানে প্রবেশ করারও কোনো রাস্তা নেই। পুরো এলাকাটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় মৃত্যু ছাড়া তাদের আর গতি নেই।” 

লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে মালিয়েশীয় জঙ্গি মাহমুদ আহমেদ মারাউয়িতেই ছিলেন আর এখনো সে শহরটিতেই আছে বলে সামরিক বাহিনীর বিশ্বাস বলে জানিয়েছেন পাদিলা। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি নিশ্চিত হতে না পারলেও তাকে আর হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে না।