পতুর্গাল ও স্পেনে দাবানলে নিহত ৩৪

দাবানলের অনেকগুলো ঘটনায় পর্তুগালের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে ৩১ জন নিহত ও স্পেনে অন্তত তিন জন নিহত হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2017, 04:06 AM
Updated : 17 Oct 2017, 04:51 AM

রোববার শুরু হওয়া প্রায় ১৪৫টি দাবানলের মধ্যে কয়েক ডজনকে গুরুতর বলে বিবেচনা করছে পর্তুগালের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষগুলো, এক মুখপাত্রের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

পর্তুগালের উত্তরাঞ্চলে পর্তুগাল ও স্পেনের গ্যালিসা অঞ্চলের সীমান্তজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।

শুষ্ক, উষ্ণ একটি গ্রীষ্মকাল শেষে শুরু হওয়া দাবানলগুলো নিয়ন্ত্রণে কয়েক হাজার দমকল কর্মী কাজ করছে।

ইউরোপের পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসা হারিকেন ওফেলিয়ার কারণে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়েছে। হারিকেনের প্রবল বাতাসের কারণে আগুন আরো জোরালো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।

পর্তুগালে আগুনে পুড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

বেশ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম; এদের মধ্যে এক মাস বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।

দেশটির কোয়িমব্রা, গুয়ার্দা, ক্যাস্টেলো ব্রানকা এবং ভিসেউ এলাকায়ই অধিকাংশ মানুষের মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে।

স্পেনে নিহতদের মধ্যে দুজনের লাশ রাস্তার পাশে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়িতে পাওয়া গেছে।

দাবানল কবলিত এলাকাগুলোতে সোমবার রাতে বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল।

পর্তুগালের টাগুস নদীর উত্তরপাশে দেশটির প্রায় অর্ধেক এলাকাগুলোজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সোমবার সকালে দাবানল কবলিত এলাকাগুলোতে ছয় হাজারেরও বেশি দমকল কর্মী ও এক হাজার ৮০০ গাড়ি মোতায়েন করা হয়।

দাবানলের কারণে অন্তত ১২টি সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি এলাকায় স্কুলও বন্ধ রাখা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখয় গালিসার পন্তেভেদরা এলাকায় গিয়ে জরুরি বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবানলের ঘটনাগুলোকে ‘নাশকতা’ বলে দাবি করেছেন রাখয়।

তিনি বলেন, “এখানে আমরা যার সঙ্গে লড়ছি তা কোনো দুর্ঘটনার কারণে ঘটেনি, এগুলো সচেতনভাবে ঘটানো হয়েছে।        

“এখানে পাসোস দ্য বর্দেনে বড় ধরনের একটি আগুন জ্বলছে, যা আজ সকালে (সোমবার মধ্যরাতে) ১টা ৩০ মিনিটে পাঁচটি আলাদা জায়গায় শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে এভাবে আগুন লাগার ঘটনা অসম্ভব।”

অগ্নিসংযোগকারীরা এসব আগুন লাগিয়েছে অভিযোগ করে গালিসার নেতা আলবার্তো নুনেজ ফেইজো ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ’ বলে দাবি করেছেন।

এর আগে স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুয়ান ইগনাসিও জোইদো জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে আগুন লাগানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। 

চলতি বছরের জুনে পর্তুগালে বড় ধরনের আরেকটি দাবানলের ঘটনায় ৬৪ জন নিহত ও ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।