‘প্রথম বোমাটি না পড়া পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনা চলবে’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো কূটনীতির মাধ্যমেই উত্তর কোরিয়া সঙ্কটের সমাধান চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

রোববার সংবাদ সংস্থা সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিলারসন বলেন, ‘প্রথম বোমা মাটিতে পড়ার আগ পর্যন্ত’ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নিষেধাজ্ঞা ও কূটনীতির মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক ঐক্য গড়ে উঠেছে বলেও জানান তিনি।

বিবিসি বলছে, কোরীয় উপদ্বীপের জলসীমাজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলমান যৌথ মহড়ার মধ্যেই টিলারসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন। সাম্প্রতিক এই মহড়ায় দুই দেশের যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ডেস্ট্রয়ার ও বিমানবাহী রণতরীও যোগ দিয়েছে।

পিয়ংইয়ং আগে থেকেই এই ধরনের মহড়ার বিরুদ্ধচারণ করে আসছে। তাদের ভাষ্য, আদতে এগুলো ‘যুদ্ধের জন্য মহড়া’।

রোববারের এ সাক্ষাৎকারে ‘জুলাইয়ে পেন্টাগনে এক বৈঠকের শেষে ট্রাম্পকে বোকা বলেছিলেন কি না’এই বিষয়ে ফের  মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান টিলারসন।

বলেন, উত্তর দিয়ে বিষয়টির গুরুত্ব বাড়াবেন না তিনি। 

এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার সঙ্গে বুদ্ধিমত্তা পরিমাপক ‘আইকিউ পরীক্ষায়’অংশ নিতেও আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে খবর মার্কিন গণমাধ্যমের।  পরে হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্যকে ‘কৌতুক’বলে উড়িয়ে দেন। 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জাপানের ওপর দিয়ে দুই দফা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে এবং ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক মতামতকে অগ্রাহ্য করেছে বলে মন্তব্য বিবিসির।   

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কঠোর কমিউনিস্টশাসিত রাষ্ট্রটি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া পিয়ংইয়ংয়ের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন একের পর এক কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছেন।

এরই মধ্যে গত মাসের শেষ দিকে টিলারসন জানান, আলোচনার পথ খোলা রাখতে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করছে।  যদিও একে ‘পণ্ডশ্রম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

‘সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা চলছে’ টিলারসনের এমন মন্তব্যের পরদিনই টুইটারে ট্রাম্প তার পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ‘সময় নষ্ট না করার পরামর্শ দেন’।

তিনি বলেন, “শক্তি সঞ্চয় করে রাখো রেক্স; যা করা দরকার আমরা তাই করবো।”