এবার বিজেপির বিতর্কিত আইনপ্রণেতা সঙ্গীত সোম এ বিতর্কে যোগ দিয়ে তাজমহলকে ‘ভারতের সংস্কৃতির কলঙ্ক’ বলে অভিহিত করেছেন, খবর এনডিটিভির।
এই স্থাপনাটি ‘বিশ্বাসঘাতকরা’ তৈরি করেছিল বলে অভিযোগও করেছেন তিনি।
সোম বলেছেন, “উত্তর প্রদেশের পর্যটনের বুকলেটে ঐতিহাসিক স্থানগুলোর তালিকা থেকে তাজমহলের নাম সরানোর পর অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কোন ইতিহাসের কথা বলছি আমরা? যে লোকটি (শাহজাহান) তাজমহল বানিয়েছিল সে তাদের ভাইদের কারাবন্দি করেছিল।
“সে হিন্দুদের সংহার করতে চেয়েছিল। এটাই যদি ইতিহাস হয়, তাহলে তা খুব দুঃখজনক এবং আমরা এই ইতিহাসটি পরিবর্তন করবো।”
২০১৩ সালে উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফরনগরের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ভূমিকার জন্য যে রাজনীতিকরা অভিযুক্ত সোম তাদের অন্যতম। ওই দাঙ্গায় ৬০ জনেরও বেশি নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। উত্তেজনা সৃষ্টিকারী বক্তব্যের জন্যও এই আইনপ্রণেতা পরিচিত।
চলতি মাসের প্রথমদিকে উত্তর প্রদেশের পর্যটন দপ্তরের নতুন ব্রুশিয়ারে তাজমহলকে না রাখায় ভারতের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মার্বেল পাথরে তৈরি সপ্তদশ শতকের এই স্মৃতিসৌধটি দেখতে বিশ্বের সব অঞ্চলের পর্যটকরা ভারতে যান।
মুঘল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি এই স্থাপনাটিকে সচেতনভাবে অবহেলা করার জন্য ভারতের অনেকেই উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে অভিযুক্ত করেন।
সমালোচনার মুখে আত্মপক্ষ সমর্থন করে উত্তর প্রদেশের পর্যটনমন্ত্রী রিতা বহুগুনা জোশি বলেছিলেন, “তাজমহল আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিশ্বের বিখ্যাত পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলোর সর্বোত এবং অবকাঠামোগত সুবিধাদির উন্নয়নই আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার।”
উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকারের শাসনের ছয় মাস উপলক্ষ্যে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর ওই বুকলেটটি প্রকাশ করেছিল। এতে রাজ্যের রাজ্যটির গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলোর তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যে মন্দিরের প্রধান, গোরক্ষপুরের সেই গোরখনাথ মন্দিরের নাম থাকলেও তাজমহলের নাম রাখা হয়নি।
জুনে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, তাজমহল ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে না।