বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, স্যালি জোনস নামের ওই নারী ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেন্ট কাউন্টির চাথামের বাড়ি ছেড়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমান বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা।
ধর্মান্তরিত স্যালি পরে সেখানেই অনলাইনে পরিচিত আইএস সদস্য জুনাইদ হোসাইনকে বিয়ে করেন।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় জুনাইদ মারা গেলে স্যালিকে ‘শ্বেতাঙ্গ বিধবা’ বা ‘হোয়াইট উইডো’ নামে ডাকতে শুরু করে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদপত্র ‘দ্য সান’ জুনে সিরিয়ায় ইরাক সীমান্তের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় স্যালি ও তার ছেলের মৃত্যুর খবর দেয়।
ছেলেকে নিয়ে স্যালি আইএস এর শক্ত ঘাঁটি রাকা থেকে পালাচ্ছিলেন বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা এই তথ্য পেয়েছে বলেও দাবি সানের।
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানরা বলছেন, ড্রোন হামলার পর মাটি থেকে ডিএনএ-র অস্তিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় স্যালি ও তার ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে তারা শতভাগ নিশ্চিত নন।
যদিও ‘শ্বেতাঙ্গ বিধবা’ যে নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে তারা অনেকটাই নিশ্চিত।
স্যালির ছেলে জোজো ঘটনাস্থলেই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ড্রোন হামলার সময় মার্কিন বাহিনী জোজোর উপস্থিতি জানত না এবং সে হামলার লক্ষ্য ছিল না বলেও সান জানিয়েছে।
হামলায় আরও আইএস জঙ্গি নিহত হয়েছে বলেও ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের ভাষ্য।
আইএস এর সদস্য হওয়ার আগে স্যালি ব্যান্ড দলের গায়িকা ছিলেন। জিহাদি দলে নাম লেখানোর পর অনলাইনে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি প্রচারণার কাজও করতেন তিনি।