রায়ে বলা হয়েছে, আরুষিকে তার বাবা-মা হত্যা করেনি। তাছাড়া, গৃহপরিচারক হেমরাজকেও এ দম্পতি খুন করেনি বলেই মনে করছে আদালত।
এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) বিশেষ আদালত এ মামলায় তালোয়ার দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এ চিকিৎসক দম্পতি।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট রায়ে জানায়, রাজেশ তালোয়ার এবং নূপুর তালোয়ার দোষী নন।
২০০৮ সালের ১৬ মে নয়ডার নিজ বাড়িতে খুন হয় কিশোরী আরুষি তালোয়ার। ঘরের ভিতর থেকে তার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। সে সময় নিখোঁজ ছিল তালোয়ারদের পরিচারক হেমরাজ।
কিন্তু তালোয়ারদের অভিযুক্ত করার পক্ষে যথেষ্ট ফরেনসিক প্রমাণ দিতে পারেনি পুলিশ। ২০০৮ সালের ৩১ মে তে মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই।
তদন্তে তালোয়ার দম্পতির দিক থেকে সন্দেহের তীর ঘুরে যায় তাদের অ্যাসিসটেন্ট কৃষ্ণ ও পরিচারক রাজকুমার ও বিজয়ের দিকে। তবে তাদের বিরদ্ধেও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি সিবিআই।
২০১১ সালে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ফের সিবিআই এর কাছে আবেদন করে তালোয়ার দম্পতি।
২০১৩ সালে তালোয়ার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে সিবিআই আদালত। এখন হাইকোর্টে সেই রায় উল্টে গেল।