হোয়াইট হাউজের কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেন ট্রাম্প-জামাতা 

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার নিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার খোদ তার জামাতা কুশনারেরই এমন কাজ করার খবর জানিয়েছে মার্কিন রাজনৈতিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2017, 05:03 PM
Updated : 25 Sept 2017, 05:03 PM

রোববারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা জারেড কুশনার হোয়াইট হাউজের কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করেছেন।

অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বার্তা চালাচালির জন্য হোয়াইট হাউজের অফিসিয়াল একাউন্টের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্টও ব্যবহার করেছেন তিনি।

পলিটিকো জানায়, মিডিয়া কভারেজ সম্পর্কিত চিঠিপত্র, অনুষ্ঠান পরিকল্পনা এবং অন্যান্য কাজে কুশনার ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেছেন।

কুশনারের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেল সরকারি তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ আইন মেনে চলেছেন এবং ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে যে সব ইমেইল তিনি পাঠিয়েছেন সেগুলোর সবই তিনি অফিসের ইমেইল একাউন্টে ‘ফরোয়ার্ড’ করেছেন।

গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারাভিয়ানের সময় ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করার বিষয়টিকে বড় ধরনের ইস্যু বানিয়েছিলেন।

হিলারিকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রিপাবলিকান শিবিরও। এমনকি ওই কারণে হিলারির সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল রিপাবলিকান শিবির থেকে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। ওই সময় তিনি ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে সরকারি কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

সে অভিযোগ নিয়ে এফবিআই তদন্ত পর্যন্ত করেছে। যদিও পরে হিলারির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না করার সিদ্ধান্ত হয়।

পিলিটিকোর খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের অন্যান্য শীর্ষ সহযোগীরাও অফিসের কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করেন; যাদের মধ্যে সাবেক চিফ অব স্টাফ রাইনস প্রিবাস, সাবেক প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যানন এবং অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্রে কনও ছিলেন।

হোয়াইট হাউজের অনেক কর্মকর্তাই ব্যক্তিগত ফোন থেকে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমেও সাংবাদিক বা অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানিয়েছে পলিটিকো।