বিবিসি জানায়, প্রতিযোগিতার আয়োজকরা অনলাইনে পোস্ট করা ইসেনের বক্তব্যকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে বর্ণনা করে তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। মুকুট জয়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা হারাতে হয় ইসেনকে।
যদিও ১৮ বছরের এই তরুণী বলেছেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশে অনলাইনে ওই পোস্ট দেননি।
যদিও যে টুইটের কারণে ইসেনকে মুকুট হারাতে হলো সেটা সে গত জুলাইয়ে পোস্ট করেছিল।
১৫ জুলাই তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী ছিল।
অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা আটকাতে গিয়ে প্রায় ২৫০ মানুষ নিহত হয়, যাদের প্রায়ই ‘শহীদ’ বলে বর্ণনা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান।
১৫ জুলাই নিজের টুইটার একাউন্টে ইসেন লেখেন, “১৫ জুলাই শহীদ দিবস উদযাপন করতে আজ সকালে আমার পিরিয়ড (রজঃস্রাব) শুরু হয়েছে। আমাদের শহীদদের রক্তের প্রতিনিধিত্ব করতে রক্তাক্ত হয়ে আমি এই দিনটি উদযাপন করছি।”
তখন এটা নিয়ে আলোচনা না হলেও ইসেন মিস টার্কি মুকুট জয়ের পর এটা নিয়ে আলোচনার ঝড় শুরু হয়।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসেনের মুকুট কেড়ে নেওয়া কথা জানায় আয়োজকরা।
“আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এটা ইতির ইসেনের টুইট। মিস টার্কি আয়োজকদের পক্ষে এ ধরনের কোনো পোস্টের সমর্থন করা সম্ভব না।”
জবাবে এক বিবৃতিতে ইসেন বলে, “একজন ১৮ বছরের মেয়ে হিসেবে আমি বলতে চাই, আমি কোনো রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এই পোস্ট শেয়ার করিনি।”
“আমি আমার দেশ ও জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা নিয়েই বেড়ে উঠেছি।”
নিজের পোস্টের কারণে ‘তাকে নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায়’ ক্ষমাও চেয়েছে ইসেন।
ইসেনের পরিবর্তে এখন রানার-আপ আসলি সুমেন চীনে আসন্ন মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় তুরস্কের প্রতিনিধিত্ব করবে।