তদন্তের প্রয়োজনে মিয়ানমারে প্রবেশে দেশটির সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন বলেও জানান তিনি; শিগগিরই এ অনুমতি পাওয়া যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় দারুসম্যানের নেতৃত্বে জাতিসংঘের একটি তদন্ত দল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
অগাস্টে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারে সামরিক অভিযান শুরুর পর কাজ শুরু করে দারুসম্যানের তদন্ত দল।
২০১৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় বার্তা সংস্থা রায়টার্স।
দারুসম্যান বলেন, কাজ শেষ করতে তার ‘বাড়তি আরও ছয় মাস সময় প্রয়োজন’।
তিনি বলেন, “বর্তমানে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে যে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমাদের কাজের চাপ অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের কাছ থেকে যেরকম গভীর ও সুক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন আশা করা হচ্ছে তা করতে হলে আমাদের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করতে হবে। আগামী মার্চের মধ্যে আমরা সেটি করতে পারব কিনা তা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।”
“মিয়ানমারে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার যে আনুরোধ আমরা করেছি সেটির দ্রুত অগ্রগতি হবে বলেও আমি আশা করছি।”মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে করা ওই অনুরোধের পর দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বেরিয়ে এসেছে বলেও জানান দারুসম্যান।
তিনি বলেন, “প্রথমত, নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালীতে যে কোনও সময় দেশত্যাগ করা রোহিঙ্গারা ফিরে আসলে তাদের গ্রহণ করতে মিয়ানমার সরকারের প্রস্তুতির বিষয় আছে। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনাও করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে দেওয়ার ক্ষেত্রেও মিয়ানমার সরকারের প্রস্তুতির বিষয় আছে।”
রয়টার্স জানায়, ২০১১ সালের পর থেকে মিয়ানমার জুড়ে কি ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা যাচাই করতে চান দারুসম্যান।
নব্বইয়ের দশকে করা প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় ‘যাচাইয়ের মাধ্যমে’ বাংলাদেশে থাকা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর সু চি।
রাখাইনে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।