বুধবার শুরু হওয়া এই সামরিক মহড়ায় ১৯ হাজার সৈন্য অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০১৩ সালের পর থেকে বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া রাশিয়ার বৃহত্তম সামরিক মহড়াকে সামনে রেখে তিন সপ্তাহব্যাপী মহড়াটি শুরু করেছে সুইডেন।
এতে দেশটির পূর্ব উপকূলের বাল্টিক সাগরের দ্বীপ গোটল্যান্ড পূর্ব দিকে থেকে সুইডেনের মূলভূখণ্ডে হামলা চালানোর মহড়া দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে বেলারুশ, বাল্টিক সাগর, পশ্চিম রাশিয়া ও রাশিয়ার ছিটমহল কালিনিনগ্রাদ পর্যন্ত বিস্তৃত রাশিয়া ও মিত্রদেশ বেলারুশের যৌথ মহড়াটি ১৪ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
“নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিপজ্জনক দিকে মোড় নিয়েছে,” মহড়ার পরিকল্পনা উপস্থাপনকালে বলেন সুইডেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার মিখায়েল বাইডেন।
রাশিয়ার প্রতিবেশী সুইডেন, লুথিনিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড এবং পশ্চিমা দেশগুলো ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেইনের কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে নিজের অংশ করে নেওয়ার পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে আছে।
বাইডেন বলেন, “ক্রিমিয়াকে নিজের অংশ করে নেওয়া ও পূর্ব ইউক্রেইনে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাশিয়া বর্তমানে ইউরোপের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে রেখেছে, তাই রাশিয়া কী করছে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এটি পরিষ্কার।”
অরোরা নামের সুইডেনের মহড়াটিতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নরওয়ে ও অন্যান্য নেটোভুক্ত দেশগুলোর এক হাজার ৫০০ সেনা অংশ নিচ্ছে। তবে সুইডেন নেটো সামরিক জোটের সদস্য নয়।
১৯৯০ সালের পর থেকে দেশটি সামরিক খাতে ব্যয় হ্রাস করলেও সম্প্রতি আবার বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি দেশের সব নাগরিকের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়াও আবার শুরু করেছে।