পারমাণবিক কর্মসূচি দ্বিগুণ করার ঘোষণা উ. কোরিয়ার

নতুন করে জাতিসংঘ বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিতে পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কাজ দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2017, 03:54 PM
Updated : 13 Sept 2017, 03:54 PM

গত ৩ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর জেরে দেশটির উপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সোমবার ঘোষণা করা নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় উত্তর কোরিয়ার বস্ত্র রপ্তানি ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির ওপর বাধা-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

কড়া ভাষায় নতুন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।

ইএফই  বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন কিম।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানায়, “আত্মরক্ষার আইনি আধিকার থেকে উত্তর কোরিয়াকে বঞ্চিত করা এবং পুরোদস্তুর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দেশটিসহ এর জনগণকে টুঁটি চেপে মেরে ফেলার লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।”

এ নিয়ে ২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ নবম বারের মতো দেশটির ওপর সর্বসম্মতভাবে ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল।

যদিও  উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাবটি আরও অনেক কঠোর ছিল, কিন্তু উত্তর কোরিয়ার মিত্র ও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্য চীন ও রাশিয়ার সমর্থন আদায়ের জন্য প্রস্তাবটি অনেকটা নমনীয় করা হয়।

২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য কয়লা ও অন্যান্য খনিজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল নিরাপত্তা পরিষদ। এবার দেশটির দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি পণ্য বস্ত্রের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এশিয়ায় যু্ক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলো উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘের নতুন নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে।

তবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া এভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ প্রয়োগ ‘হিতে বিপরীত’ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে।

নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা মনে করি, এটি শুধুমাত্র আরেকটি ছোট্ট পদক্ষেপ(….)। শেষ পর্যন্ত যা হবে তার সঙ্গে এ নিষেধাজ্ঞার কোনও তুলনাই হয় না।”

উত্তর কোরিয়ায় ‘আগুনে বৃষ্টি’ ঝরানোর হুমকি দেওয়া ট্রাম্প এখনও সেখানে সামরিক হামলার সম্ভবনা উড়িয়ে দেননি।

পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখা দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য স্থগিতের পরিকল্পনাও করছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।