রাশিয়ার সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা চুক্তি তুরস্কের

তুরস্ক নিজেদের আকাশ সীমার সুরক্ষায় রাশিয়ার কাছ থেকে বিতর্কিত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কিনতে চুক্তি সই করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2017, 02:50 PM
Updated : 12 Sept 2017, 02:50 PM

রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম এবং লক্ষ্যবস্তুকে অনুসরণ করে আঘাত হানতে পারে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক উপদেষ্টা ভ্লাদিমির কোজিন বলেন, তুরস্কের সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি ‘আমাদের কৌশলগত স্বার্থের জন্য উপযোগী।”

“এই প্রেক্ষাপটে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ যারা তুরস্কের উপর চাপ প্রয়োগ করতে চাইছে তাদের প্রতিক্রিয়া কি হবে সেটা যে কেউ সহজেই বুঝতে পারবে।”

চুক্তি আনুযায়ী, আঙ্কারা এরই মধ্যে অর্থ পরিশোধ করেছে বলেও জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান। যা প্রায় আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে অবনতির পর তুরস্ক দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছে।

যদিও ২০১৫ সালে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে তুর্কি জঙ্গিবিমান থেকে গুলি করে রাশিয়ার একটি যুদ্ধ বিমান ভূপতিত করা হয়। এ ঘটনার পর ওই বছর ডিসেম্বরে সিরিয়ার লাতাকিয়ায় নিজেদের বিমান ঘাঁটির কাছে এস-৪০০ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে রাশিয়া।

বিমান ভূপতিত করার পর তুরস্ক-রাশিয়া সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিলেও পরে এরদোয়ান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেন।

নেটো ভূক্ত দেশ হলেও কুর্দিদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক মত বিরোধ দেখা দিয়েছে।

সিরিয়ায় ওয়াইপিজি কুর্দি বিদ্রোহীদের সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র, যা নিয়ে আপত্তি আছে তুরস্কের।

এরদোয়ান সরকারের দাবি, সিরিয়ার কুর্দি ও তুরস্ক সরকার বিরোধী কুর্দস বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আছে।

বিবিসি জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি নিশ্চিতভাবেই নেটোকে তুরস্কের চোখ রাঙানি। কারণ তুরস্কের অনুরোধ উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত থেকে প্যাটরিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

এরদোয়ানের বরাত দিয়ে দৈনিক হুররিয়াত জানায়, “আমাদের দেশের সুরক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমাদেরই দায়িত্ব।”