পরিকল্পিত ওই গণভোটের তিন সপ্তাহ আগে সোমবার বার্সেলোনার সড়কগুলো লাল-হলুদ পতাকায় ছেয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আগামী ১ অক্টোবরের ওই গণভোটকে অবৈধ বলে বিবেচনা করছে স্পেন। কিন্তু ক্যাটালোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থি সরকার এরইমধ্যে একটি আইন পাশ করে রেখেছে, তাতে বলা হয়েছে, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে ক্যাটালোনিয়া স্পেন থেকে বের হয়ে গিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
গণভোট অনুষ্ঠিত হলে ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের ব্যবধান খুব কাছাকাছি থাকবে বলে জনমত জরিপে আভাস পাওয়া গেছে।
নিজেদের ভাষা ও রীতিনীতি নিয়ে ক্যাটালানরা ইতোমধ্যেই প্রায় স্বাধীনতার কাছাকাছি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে। কিন্তু ধনী এ এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দারই ধারণা, মাদ্রিদ তাদের কাছ থেকে উচ্চ কর ও রাজস্ব আদায় করছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লা ভ্যানগার্দিয়া জানিয়েছে, জাতীয় রঙের টি-শার্ট পরিহিত হাজারো সমর্থক বার্সেলোনার কেন্দ্রে বিশাল আকৃতির ক্রস চিহ্ন নির্মাণ করে স্বাধীনতার পক্ষে নিজেদের অবস্থানের জানান দিয়েছে।
এই র্যালিতে প্রায় ১০ লাখ ক্যাটালান যোগ দিয়েছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দুই হাজার বাস র্যালিতে লোক আনা-নেওয়ার কাজ করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
র্যালিতে বার্সেলোনার বামপন্থি মেয়র আদা কোলা গণভোটের পক্ষে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি কাতালান পার্লামেন্টকে ভোটে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন।
২০১৪ সালের নভেম্বরে অনানুষ্ঠানিক গণভোটে ৮০ শতাংশ কাতালান স্বাধীনতার পক্ষে রায় জানিয়েছিলেন। সেবার ভোটদানের হার অত্যন্ত কম ছিল এবং সাংবিধানিক আদালত ভোটকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করায় ফল মানায়ও কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না।
২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া মন্দা এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্বও কাতালানদের স্বাধীনতার দাবিতে হাওয়া দিচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
গত সপ্তাহে স্পেনের সাংবিধানিক আদালত গণভোট অনুষ্ঠানে আইনী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গত কয়েকদিনে স্পেনের গার্দিয়া বেসামরিক পুলিশ গণভোটের সমর্থনে বিভিন্ন জিনিস ছাপা হচ্ছে সন্দেহে বেশ কয়েকটি ক্যাটালান মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে অভিযানও চালিয়েছে।
অন্যদিকে স্বাধীনতার বিষয়টি ফয়সালা করতে ক্যাটালোনিয়ার বেশিরভাগ বাসিন্দাই গণভোটের পক্ষে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যগুলো।