আইএস যোদ্ধাদের ১৪০০ বিদেশি স্ত্রী ও সন্তান ইরাকের জিম্মায়

সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধাদের এক হাজার ৪০০ জন বিদেশি স্ত্রী ও সন্তান এখন ইরাকি কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 11 Sept 2017, 09:24 AM
Updated : 11 Sept 2017, 09:24 AM

ইরাকের অন্যতম শেষ শক্তিকেন্দ্র থেকে আইএসের জঙ্গিদের হটিয়ে দেওয়ার পর থেকে এরা ইরাকি কর্তৃপক্ষের জিম্মায় আছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা ও ত্রাণ কর্মকর্তারা।

এদের অধিকাংশই তুরস্ক থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। অন্যান্য অনেকে সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র তাজিকিস্তান, আজারবাইজান ও রাশিয়া থেকে এসেছেন বলে ইরাকি সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বাকীরা এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে এবং ‘অল্প কয়েকজন’ ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে এসেছেন। 

মসুলের দক্ষিণে ইরাকি বাহিনীর একটি শিবিরে এদের রাখা হয়েছে। এদের অধিকাংশই শিবিরটিতে এসেছেন ইরাকি বাহিনী মসুল থেকে আইএসের যোদ্ধার তাড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে। 

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা এসব বিদেশি নারীদের জাতীয়তা ও যে দেশে তারা বসবাস করতো তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। এদের অনেকের কাছেই মূল কাগজপত্র না থাকায় বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়েছে।

এক ত্রাণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছর উত্তর ইরাকের বিভিন্ন শহর থেকে জঙ্গিদের তাড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে অভিযান শুরু করার পর থেকে ইরাকি বাহিনীর হাতে বন্দি আইএসের সঙ্গে সম্পর্কিত বিদেশিদের সবচেয়ে বড় দল এরা।

ইরাক ও সিরিয়ায় হাজার হাজার বিদেশি আইএসের বা দায়েশের পক্ষ হয়ে এখনও লড়াই করে যাচ্ছে।  

নিনেভ অপারেশন কমান্ডের সেনা কর্নেল আহমেদ আল তায়ি মুসল থেকে বলেছেন, “দায়েশের পরিবারগুলোকে কড়া পাহারার মধ্যে রেখেছি আমরা, আর এদের নিয়ে কী করা হবে তা জানতে সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।

“আমরা তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছি। তারা ঠাণ্ডা মাথায় নিরপরাধ মানুষের খুন করা কঠোর প্রকৃতির অপরাধীদের পরিবার; কিন্তু আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে আবিষ্কার করেছি, তাদের প্রায় সবাই দায়েশের অসৎ প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে আছে।”

নিরাপত্তা বাহিনীর আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব নারী ও শিশুর অধিকাংশ তাদের স্বামীদের সঙ্গে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তাল আফারের কাছে কুর্দি পেশমেরগা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। কুর্দিরা নারী ও শিশুদের ইরাকি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে যুদ্ধবন্দি হিসেবে পুরুষদের রেখে দেয়।   

ইরাকি বাহিনী আইএসকে মসুল থেকে হটিয়ে দেওয়ার পর এসব পরিবারগুলোর অনেকে তাল আফারে পালিয়ে গিয়েছিল।