সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের প্রচেষ্টা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে একথা বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার জিও টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি অতুলনীয় ও অবিচল।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার আফগানিস্তানে যুদ্ধের নতুন কৌশল প্রকাশ করেন।
একদিন পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানকে ‘সমর্থন দেওয়ার’ অভিযোগ এনে বলেন, পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে ‘অবস্থান বদল না করলে’ তারা যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
টিলারসন বলেন, যদি পাকিস্তান বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করে তবে এসব সুযোগ সুবিধা ও সহায়তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে পর্যালোচনা করবে।
নিজেদের স্বার্থেই পাকিস্তানকে এ পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পাকিস্তানের স্থিতিশীলতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের স্বার্থ জড়িত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
টিলারসন বলেন, “পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং তাদের অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।”
আফগান তালেবান এবং অন্যান্য জঙ্গি দলের সদস্যদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় খোদ পাকিস্তানই জর্জরিত হয়ে আছে।
এরপরও সমালোচকদের বিশ্বাস, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আফগান তালেবানসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি জঙ্গি সংগঠনকে রসদের যোগান দেয়।
দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার পর বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ যোগ দেয় পাকিস্তান।
আসিফ বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অবদান ‘সবসময়ই পর্যপ্ত নয়’ বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
“যুক্তরাষ্ট্র আমাদের হুমকি দিয়ে এবং কোণঠাসা করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের যে পরিকল্পনা করছে তা ঠিক না।”
“জোটের শরিক হিসেবে আমাদের অংশগ্রহণ, ত্যাগ ও ভূমিকা সব সময়ই অবহেলিত এবং অপমানিত হয়েছে।”
খুব শিগগিরই টিলারসনের সঙ্গে আসিফের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।