ইয়েমেনে বিমান হামলায় নিহত ৩৫

ইয়েমেনের রাজধানী সানায়  হুতি বিদ্রোহীদের তল্লাশিকেন্দ্রের কাছে একটি হোটেলে সৌদি আরব-নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 23 August 2017, 12:47 PM
Updated : 23 August 2017, 12:47 PM

হুতি বিদ্রোহীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বুধবার সানার আরহাব এলাকার ছোট একটি হোটেলে ওই হামলা চালানো হয়।

আল জাজিরা টেলিভিশনও হামলায় বহু মানুষ হতাহত হওয়ার খবর সম্প্রচার করেছে।

২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে এবং সুন্নি প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদিকে গৃহবন্দি করে।

পরে হাদি পালিয়ে বন্দর নগর এডেনে চলে যান এবং সেখান থেকে তার সশস্ত্র অনুসারীদের একত্রিত করে রাজধানী দখলের চেষ্টা করেন।

২০১৫ সালের মার্চ মাসে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাদি সরকারের পক্ষে লড়াই করছে।

অন্যদিকে, বিদ্রোহী হুতিদের সমর্থন দিচ্ছে ইরান। রাজধানী সানা এবং দেশের উত্তরাঞ্চল হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।

হুতি পরিচালিত টেলিভিশন স্টেশন আল মাসিরার খবরে বলা হয়, “আরহাবের ছোট একটি হোটেলে বিমান হামলায় ৩০ জনের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন।”

রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে সৌদি জোটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হতে হয়েছে।

এ মাসের শুরুতে জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইয়েমেনে বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “তারা বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষা করছে।”

গত কয়েক মাসে হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিমান হামলা বেড়ে গেছে, এমনকি একটি শিশু সদনেও হামলা হয়।  সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সাধারণ মানুষদের বাড়ি ঘরে বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গত সপ্তাহে একটি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনে এ বছর প্রথম ছয় মাসেই গত বছরের চেয়ে  বেশি বিমান হামলা হয়েছে। যে কারণে, বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও গৃহহীন হওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে।

তবে কোন এলাকায় হামলা বেশি হচ্ছে তা ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।