গত মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বালিকাটির পরিবার গর্ভপাতের আবেদন জানালে অনুমতি মেলেনি।
বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়ের এক সরকারি হাসপাতালে তার সন্তানের জন্ম হয়েছে। তবে বালিকাটি এখনও জানে না সে সন্তানের জন্ম দিয়েছে।
গর্ভাবস্থায় থাকার সময় তাকে বলা হয়েছিল তার পেটে বড় একটি পাথর হওয়ায় পেট ফুলে উঠেছে।
২ দশমিক ৫ কিলোগ্রাম (সাড়ে পাঁচপাউন্ড) ওজনের সদ্যজাত শিশু ও মা দু’জনই শারীরিকভাবে সুস্থ আছে বলে বিবিসি’কে জানিয়েছেন হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা।
১০ বছরের ওই বালিকাকে গত সাত মাস ধরে তারই এক চাচা কয়েকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ আছে। ধর্ষণকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মেয়েটি যে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে তা জানা যায় জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে, যখন পেট ব্যথা হচ্ছে বলায় তার বাবা-মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গর্ভধারণের সময়কাল ২০ সপ্তাহের বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে প্রথমে স্থানীয় আদালত এবং পরে সুপ্রিম কোর্টও বালিকাটির গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি।
এ পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার সকালে সিজারের মাধ্যমে তার সন্তানের জন্ম দেওয়ানো হয়।
বালিকাটির বাবা-মা শুরু থেকেই বলে এসেছেন, তাদের মেয়ের গর্ভের সন্তানের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই, তারা শিশুটিকে নিতেও চান না।
ফলে সদ্যজাত শিশুটিকে আপাতত দেখভাল করবে শিশু কল্যাণ কমিটি এবং পরে শিশুটিকে দত্তক হিসেবে কাউকে দিয়ে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।