যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি উ. কোরিয়ার

যুক্তরাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।   

>>রয়টার্স
Published : 9 August 2017, 05:56 AM
Updated : 9 August 2017, 06:01 AM

যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো হুমকি দিলে উত্তর কোরিয়ায় জোরালো হামলা চালিয়ে তার জবাব দেওয়া হবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ার করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বুধবার পাল্টা এ হুমকি দেয় উত্তর কোরিয়া।

দেশটি জানিয়েছে, তারা গুয়ামে হামলা চালানোর একটি পরিকল্পনা ‘সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখছে’।

গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি আছে। এই ঘাঁটিতে একটি বিমান ক্ষেত্র, একটি সাবমেরিন স্কোয়াড্রন ও দেশটির কোস্টগার্ডের একটি দল আছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কোরিয়ান পিপলস আর্মির এক মুখপাত্র বলেছেন, তাদের নেতা কিম জং উন সিদ্ধান্ত নিলেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘প্রতিরোধমূলক যুদ্ধ’ উদ্ভাবন করেছে অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়ার অপর একজন সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, “এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডসহ শত্রুদের সব শক্তিকেন্দ্র ধ্বংস করতে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করা হবে।” 

উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচী বন্ধ করতে দরকার হলে শক্তি প্রয়োগে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন, তবে শক্তি প্রয়োগের চেয়ে নিষেধাজ্ঞাসহ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পদক্ষেপই তাদের পছন্দ বলে জানিয়েছে।

শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতভাবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 

ছুটিতে নিউ জার্সিতে থাকা ট্রাম্প মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর সতর্কবার্তাটি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে আর কোনো হুমকি না দেওয়াই সবচেয়ে ভাল হবে উত্তর কোরিয়ার জন্য। বিশ্ব কখনো দেখিনি এমন নজিরবিহীন আগুন ও উন্মত্ততার মুখোমুখি হবে তারা।” 

যুক্তরাষ্ট্রের আঘাত হানতে সক্ষম এমন পারমাণবিক বোমাবাহী ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে নিজেদের পরিকল্পনার কথা কখনো গোপন করেনি উত্তর কোরিয়া, আর পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী স্থগিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আহ্বানও কখনো গ্রাহ্য করেনি দেশটি।

পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্যই তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) দরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়া চালিয়ে উত্তেজনা উস্কে দিচ্ছে বলে উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে।