চাঁদে বৃষ্টি না হলেও সেটি ক্রমেই পানিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
চাঁদকে শুষ্কই মনে করে আসা হচ্ছিল কয়েকদশক ধরে। এরপর দুইবছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মাহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে বিপুল পরিমাণ পানির (আইস ওয়াটার) সন্ধান পায়। এরপর ভারতীয় একটি মাহাকাশযান চাঁদের পিঠে পানির সন্ধান পায়।
কিন্তু এবার চাঁদের একেবারে ভেতরে যে পানি আছে তারও আলামত পাওয়া গেল।
স্যাটেলাইটে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে চাঁদে পানির এ সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
আর তরল অবস্থায় এ পানির আলামত পাওয়ার পর চাঁদে প্রাণের সম্ভাবনা কেবল নয়, প্রাণ বা জীবনের অস্তিত্ব নিশ্চিতভাবে আছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
কোটি কোটি বছর আগে চাঁদের আগ্নেয়গিরিগুলোর জ্বালামুখ থেকে যে গরম লাভাস্রোত ম্যাগমা বেরিয়ে এসেছিল তার মধ্যে ছিল ‘ভলক্যানিক গ্লাসেস বা কাচের টুকরোর মতো পদার্থ।
চাঁদের পিঠ জুড়ে এখনও ছড়িয়ে আছে সেই কাচের টুকরোগুলো। টুকরোগুলো তখন ভিজা দেখে বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়েছিল চাঁদের পিঠে কোনও কোনও অংশে থাকা পানিতেই টুকরোগুলো ভিজেছে।
কিন্তু এবার গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, চাঁদের পিঠে এখন পর্যন্ত যেসব জায়গায় পানি পাওয়া যায়নি সেখান থেকে পাওয়া ভলক্যানিক গ্লাসেস বা কাচের টুকরোর মত পদার্থগুলোও ভিজা।
ফলে গবেষকদের ধারণা, চাঁদের পিঠের পানির কারণে ওই টুকরোগুলো ভেজেনি। টুকরোগুলো উঠে এসেছে চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচে একেবারে অন্তঃপুর থেকে। ফলে চাঁদের প্রাণকেন্দ্রেও যে পানি আছে সে ধারণাই এ থেকে সুদৃঢ় হয়েছে।
কাচের টুকরোগুলো চাঁদের পিঠে প্রায় সবখানেই ছড়িয়ে থাকায় গবেষকদের বিশ্বাস, চাঁদের ভেতরে তরল অবস্থায় প্রচুর পানি আছে। আর তা আছে অনেকটা জায়গা জুড়েই।