জলবায়ু চুক্তি: আগের অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত ট্রাম্পের

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেওয়ার এক মাস পর ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2017, 05:51 AM
Updated : 14 July 2017, 05:51 AM

বৃহস্পতিবার প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এই ইঙ্গিত দেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ম্যাক্রোঁ বলেছেন, জলবায়ু চুক্তি নিয়ে তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানালেও ফ্রান্স ওই চুক্তি বাস্তবায়নে দায়বদ্ধ। 

তিনি বলেন, “জলবায়ু নিয়ে আমরা আমাদের মতপার্থক্য সম্পর্কে জানি। কিন্তু প্যারিস চুক্তিকে এগিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।”

ম্যাক্রোঁর পর কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র  আগের অবস্থান বদলাতে পারে এমন ইঙ্গিত দেন, যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত বলেননি তিনি।

ট্রাম্প বলেন, “প্যারিস চুক্তি নিয়ে কিছু হতে পারে, আমরা দেখছি কি করা যায়।”

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৮৮টি দেশের ঐকমত্যে ২০১৫ সালে প্যারিসে ওই জলবায়ু চুক্তি হয়।

সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এমন পর্যায়ে বেঁধে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে তা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত মাসে ওই চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তীব্র সমালোচনা হয়।

সর্বশেষ জি-২০ সম্মেলনেও যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়েই শিল্পোন্নত দেশগুলো প্যারিস চুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ফ্রান্স সফরে দুই নেতা জলবায়ু চুক্তিকে পাশে সরিয়ে অন্যান্য বিষয় বিশেষ করে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি ও বাণিজ্য অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে ম্যাক্রোঁ জানান।

“আমাদের মতবিরোধ আছে। সমর্থকদের কাছে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি আছে, আমারও আছে। তাই বলে কি আমরা অন্য সব বিষয়ের অগ্রগতি বন্ধ রাখবো? না,” বলেন তিনি।

দুই প্রেসিডেন্ট এরপর সন্ত্রাসবাদ বিশেষ করে সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে কথা বলেন।

ম্যাক্রোঁ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবেই ইরাকের যুদ্ধে জড়িয়ে আছে, ওই এলাকায় তাদের সেনাবাহিনী যা কিছু করেছে তার জন্য আমি (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাই।

“আমরা আমাদের যৌথ কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি, বিশেষ করে যুদ্ধপরবর্তী রোডম্যাপ বাস্তবায়নে।”

মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনতে ফ্রান্স দৃঢ় উদ্যেগ নিতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।