ফ্রান্সের পার্লামেন্টে মাক্রোঁর দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা

নির্বাচনে বড় জয় পেয়ে পার্লামেন্ট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর দল রিপাবলিক অন দ্য মুভ (এলআরইএম) ও জোট সঙ্গী মোদেম।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2017, 08:56 AM
Updated : 19 June 2017, 08:56 AM

রোববার ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ করা হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় সব ভোট গণনার পর দেখা যায়, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৫৭৭ আসনের মধ্যে এলআরইএম ও মোদেমের জোট তিনশটিরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে।

কোনো দল ২৮৯ আসন পেলেই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তবে প্রথম দফার ফল ও জনমত জরিপের-ভিত্তিতে যেমনটি আশা করা হয়েছিল তার চেয়েও কম আসন পেয়েছে জোটটি। এর আগের বারের চেয়ে এবার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতিও কম ছিল।

তবে মাত্র এক বছর আগে গঠিত মাক্রোঁর রাজনৈতিক দলটি এরই মধ্যে যা করেছে তা অতীতের সব হিসাবনিকাশকে উল্টে দিয়েছে। এলআরইএম এর অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থীর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা খুব অল্পদিনের বা একেবারেই নেই। 

দলটির প্রার্থী তালিকায় একজন বুলফাইটার, রুয়ান্ডার এক শরণার্থী ও একজন গণিতবিদও আছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আর এইসব প্রার্থীর কাছেই ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলো ধরাশায়ী হয়েছে।

মাত্র তিন বছর আগেও ফ্রান্সের জনগণের কাছে অপরিচিত ছিলেন মাক্রোঁ। আর এখন মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টেও তার নবপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের একাধিপত্য।  

পার্লামেন্টে এই শক্ত অবস্থানের মাধ্যমে গত মাসে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ তার ইউরোপন্থি, ব্যবসাবান্ধব সংস্কার কর্মসূচী নিয়ে সহজেই এগিয়ে যেতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রক্ষণশীল রিপাবলিকান ও তাদের জোট সঙ্গীরা ১২৫ থেকে ১৩১ আসন পেতে যাচ্ছে। এই জোটটিই পার্লামেন্টে বৃহত্তম বিরোধী শিবির হতে যাচ্ছে। তবে আগের বারের পার্লামেন্টে তাদের ২০০ আসন থাকলেও এবার অনেক কম আসন নিয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।

আর গত পাঁচ বছর ফ্রান্সের ক্ষমতায় থাকা সমাজতন্ত্রীরা মাত্র ৪১ থেকে ৪৯টি আসন পেতে যাচ্ছে। দলটির পার্লামেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বিপর্যয়কর ফল। 

অপরদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাক্রোঁর প্রধান প্রতিদ্বিন্দ্বী মারি লো পেনের উগ্র-ডানপন্থি ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এফএন) আটটি আসনে জয়ী হয়েছে। দলটি ১৫ আসনে জয় পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। প্রথমবারের মতো জয় পেয়ে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন দলটির নেতা লো পেন।