ট্রাম্পের দেনার পরিমাণ ‘৩১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার’

জার্মান, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ঋণদাতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অন্ততপক্ষে ৩১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার পাওনা বলে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে।

>>রয়টার্স
Published : 17 June 2017, 10:36 AM
Updated : 17 June 2017, 10:37 AM

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সম্পদের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে দেশটির সরকারের এথিকস দপ্তর। এতে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। 

প্রকাশ করা ৯৮ পৃষ্ঠার ওই নথিগুলো এথিকস দপ্তরের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে।

এতে দেখা যায়, ‘শীতকালীন হোয়াইট হাউস’ নামে পরিচিত ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের মালিকানাধীন মার এ লাগো রিসোর্টের আয় আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, আর গত সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের কাছে চালু করা বিশাল ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল থেকে তার আয় হয়েছে প্রায় দুই কোটি ডলার।

২০১৬ এবং ২০১৭ সালের প্রথম দিকে তার অন্তত ৫৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার আয় হয়েছিল এবং নিজের সম্পদের পরিমাণ একশ ৪০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

এতে আরো দেখা যায়, জার্মানভিত্তিক ডাচ ব্যাংক এজি-র ইউনিট ডাচ ব্যাংক ট্রাস্ট কোম্পানি আমেরিকাস এর কাছে ট্রাম্পের দায়দেনার পরিমাণ অন্তত ১৩ কোটি ডলার। 

এছাড়া রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় ঋণ যোগানো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ল্যাডার ক্যাপিটল কর্পোরেশনের নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস এবং ফ্লোরিডার বোকা র‌্যাটোনের শাখা তার কাছে ১১ কোটি ডলার পাওনা বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের আয়ের সবচেয়ে বেশি অংশের যোগান, ১১ কোটি ৫৯ লাখ ডলার এসেছে মিয়ামিতে তার মালিকানাধীন গল্ফ-রিসোর্ট কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প ন্যাশনাল ডোরাল থেকে। তবে এক বছর আগে এর আয় ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার দেখিয়েছিলেন তিনি, এবার আয় কমেছে। 

তার মালিকানাধীন অন্যান্য হোটেল ও রিসোর্টের মধ্যে অধিকাংশের আয় স্থিতিশীল আছে, তবে তার রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ট্রাম্প কর্পোরেশনের আয় প্রায় তিনগুণ হয়ে গেছে। 

প্রকাশ করা নথিতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ৫৬৫টি কর্পোরেশন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে তার কর্মকর্তা পর্যায়ের অবস্থানে ছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগের দিন ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭ এসব পদ থেকে বিদায় নেন তিনি।

তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোর বেশিরভাগ যুক্তরাষ্ট্রে হলেও স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, ব্রাজিল, বারমুডা ও অন্যান্য কয়েকটি জায়গায়ও তার বেশ কিছু ব্যবসা আছে।

কী পরিমাণ ট্যাক্স দিয়েছেন তা প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তার দেয়া ট্যাক্সের পরিমাণ জানা গেলে তার সম্পদের মোট পরিমাণ ও ব্যবসায়িক স্বার্থ সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ইঙ্গিত পাওয়া যেত। কিন্তু তার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ফর্মে নিজের ও পরিবারের আয়, সম্পদ ও ঋণের তথ্য জমা দিয়েছেন তিনি।