ইসরায়েলি নারী পুলিশ হত্যার পর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত

জেরুজালেমে দুটি পৃথক ঘটনায় গুলি ছুঁড়ে ও ছুরি নিয়ে হামলা চালানো তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী।

>>রয়টার্স
Published : 17 June 2017, 08:33 AM
Updated : 17 June 2017, 08:59 AM

শুক্রবার জেরুজালেমের দেয়াল ঘেরা পুরনো শহরের দামেস্ক গেটের কাছে দুটি এলাকায় এ দুটি ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।

একই সময়ে চালানো হামলা দুটিতে ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা নিহত ও অপর এক কর্মকর্তা আহত হয়।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, দুটি ঘটনার মধ্যে একটিতে দুজন ফিলিস্তিনি একদল ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে ও তাদের ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে, এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে ওই দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এখানে এক পুরুষ কর্মকর্তা আহত হয়। 

অপর ঘটনায়, এক ফিলিস্তিনির ছুরিকাঘাতে ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা নিহত হয়, এ সময় অন্য পুলিশদের গুলিতে ওই ফিলিস্তিনি হামলাকারী নিহত হয়।

এই ঘটনার পর নিজেদের বার্তা সংস্থা আমাকে হামলায় দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ইসলামিক স্টেট (আইএস) । এ হামলাই ‘শেষ হামলা নয়’ বলে বিবৃতিতে হুমকি দেয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি।

কিন্তু আইএসের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড শাসন করা হামাস ও পিপলস ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব ফিলিস্তিনের (পিএফএলপি) জ্যেষ্ঠ নেতা ইজ্জাত এল রেশিক। ঘটনাস্থলে নিহত তিন হামলাকারীকে পিএফএলপি-র সদস্য বলে দাবি করেছেন তিনি। 

ঘটনার পর ইসরায়েলি পুলিশের তৎপরতা। রয়টার্স

শনিবার টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জেরুজালেম অভিযানে নিহত তিন বীর শহীদের সঙ্গে দায়েশের (আইএস) কোনো সম্পর্ক নেই, তারা পিএফএলপি ও হামাসের লোক।”

প্রকাশিত আলাদা আরেকটি বিবৃতিতে পিএফএলপি তিন হামলাকারীর মধ্যে দুইজনকে তাদের সদস্য হিসেবে শনাক্ত করেছে।

তারা বিবৃতিতে বলেছে, “পিএফএলপি-র সশস্ত্র শাখার গণমাধ্যম দপ্তর দুই বীর সহযোদ্ধা, দুই মুক্ত বন্দির জন্য শোক প্রকাশ করছে।”

পশ্চিম তীরে সীমিত স্বায়ত্তশাসন ভোগ করা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও আইএসের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। হামলাকারীরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরায়েলি দখলদারিত্বে হতাশ হয়ে এ কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছে তারা।   

শুক্রবার ইসরায়েলি পুলিশের মুখপাত্র লুবা সিমরি জানিয়েছেন, নিহত হামলাকারীরা সবাই ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শহরগুলো থেকে এসেছে। এদের মধ্যে রামাল্লা থেকে আসা দুই হামলাকারীর বয়স ১৮ ও ১৯ এবং হেব্রন থেকে আসা হামলাকারীর বয়স ৩০ বছর।

পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সাইট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, এই প্রথম ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত কোনো এলাকায় হামলা চালানোর দায় স্বীকার করল আইএস।

এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করা সত্বেও ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি, হামলাকারীরা কোন গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত বলে তারা মনে করেন এ প্রশ্নেও কিছু বলেনি।