লন্ডন টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ মে’র

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ার ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনার পূর্ণ সরকারি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

>>রয়টার্স
Published : 15 June 2017, 02:38 PM
Updated : 15 June 2017, 02:38 PM

২৪ তলা ওই ভবনে লাগা আগুনে এ পর্যন্ত অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে এবং সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ।

কিভাবে এমন ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হল তা নিয়ে সরকার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। জনগণের এ প্রশ্নের উত্তর দিতেই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে বা বুধবার শুরুর পর কোনও এক সময় লাগা আগুন মূহুর্তের মধ্যে পুরো ভবনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সুউচ্চ ওই টাওয়ারটিতে অনেকে আটকা পড়ে যায়, এদের মধ্যে কেউ কেউ জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে।

বিবিসি জানায়, আগুন ছড়িয়ে পড়ার সময় ভবনটিতে ‘কয়েকশত’ লোক ছিল বলে বোঝা গেছে এবং তাদের অধিকাংশই ঘুমিয়ে ছিল। আবাসিক ওই টাওয়ারটিতে ১২০টির মতো ফ্ল্যাট ছিল। ঘটনার একদিন পরও আগুন লাগার কারণ বের করা যায়নি।

এক সংবাদ সম্মেলনে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি বলেছেন, “দুঃখের সঙ্গে নিশ্চিত করছি, ১৭ জন মারা গেছেন বলে এ পর্যন্ত জানতে পেরেছি আমরা। তবে দুঃখজনভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমাদের ধারণা।”

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিখোঁজদের ছবি পোস্ট করে তাদের খোঁজ পেলে জানানোর জন্য আবেদন করছে স্বজনরা।

প্রধানমন্ত্রী মে বলেছেন, আগুন কেন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল তা জানার অধিকার মানুষের আছে। তদন্ত থেকেই তারা তা জানতে পারবে।

মে এর আগে কিছু সময়ের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি জানান, জরুরি সেবাদন কর্মীরা তাকে বলেছে যে, আগুন যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভবনকে গ্রাস করেছে তা ভয়াবহ এবং অপ্রত্যাশিত।

মে বলেন, “অগ্নিকান্ড নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে এবং পুলিশ যে তদন্ত চালাবে তার পাশাপাশি বিষয়টি আরও ভালভাবে খতিয়ে দেখার জন্য আমাদের একটি পূর্ণ সরকারি তদন্ত করে দেখাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।”

লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং কমিউনিটি নেতাদেরকে বলেছেন, “সত্য বেরিয়ে আসবে”।