২০১৩ সালের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক আদালত ম্যানিংকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এর একদিনের মাথায় তিনি নিজেকে নারী বলে দাবি করেন এবং বাকি জীবন চেলসি ম্যানিং নাম নিয়ে কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
কারাগারে হরমোন চিকিৎসা পাওয়ারও দাবি তুলেছিলেন ম্যানিং। পুরুষদের জন্য নির্ধারিত একটি সামরিক কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও খবর আসে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
পুরো সাজা খাটতে হলে ২০৪৫ সালের আগে মুক্ত জীবনে ফেরার সুযোগ হত না ২৯ বছর বয়সী এই তরুণের। মুক্তির পর সোশাল মিডিয়ায় চেলসি ম্যানিংয়ের কয়েকটি পোস্ট এলেও তার মুখমণ্ডল দেখা গেল এই প্রথম।
টুইটার আর ইনস্টাগ্রামে আসা ওই ছবির লাল লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙানো ম্যানিং বিশ্বকে বলেছেন ‘হ্যালো’।
তার সেই পোস্টে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই। মুক্ত জীবনে ম্যানিংকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন।
২০১০ সালে ইরাকে দায়িত্ব পালনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ৭ লাখেরও বেশি গোপন নথি, যুদ্ধক্ষেত্রের ভিডিও ও কূটনৈতিক বার্তা জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জের উইকিলিকস ওয়েবসাইটকে দিয়েছিলেন ম্যানিং।
সেনাবাহিনীর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেও সরকারের ‘মুখোশ উন্মোচনের’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তার নাম প্রস্তাব করেছিল।