আগাম নির্বাচনে এমপি’দের সমর্থন পেলেন মে

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ৮ জুনে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানে পার্লামেন্ট সদস্যদের সমর্থন পেয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 19 April 2017, 05:39 PM
Updated : 19 April 2017, 05:54 PM

হাউজ অব কমন্সের অধিবেশনে বক্তব্য রাখার পর ৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে মে পেয়েছেন ৫২২ জন আইনপ্রণেতার ভোট। প্রস্তাবের বিপক্ষে পড়েছে মাত্র ১৩ ভোট।

পার্লামেন্ট এ সমর্থন দেওয়ার পরপরই শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচারাভিযানও। যদিও মে মাসের আগে পার্লামেন্ট ভাঙছে না।

পার্লামেন্টে মে বলেছেন, “জাতির জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ এ সময়টিতে এখানে ওয়েস্টমিনস্টারে একতাই থাকা চাই, বিভক্তি নয়।”

তিনি বলেন, “সাধারণ নির্বাচনের ফলে দেশ পাঁচবছরের জন্য একটি বলিষ্ঠ এবং স্থিতিশীল নেতৃত্ব পাবে, যাতে করে ব্রেক্সিট আলোচনা গতি পাবে এবং এর ফলে যুক্তরাজ্য সাফল্য বয়ে আনতে পারবে। আর এ বিষয়টিই গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে মঙ্গলবার সবাইকে অবাক করে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। ব্রিটেনের বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত থাকলেও মে এ বছর ৮ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পার্লামেন্টে প্রস্তাব রাখেন

তার এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বিবিসি কে মে বলেছিলেন, অনেক অনিচ্ছা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি মন বদলেছেন। বিবিসি রেডিও ফোর’স টুডে কে তিনি বলেন, “কোনও রাজনীতিবিদই কেবল এই একটি কারণে নির্বাচন করতে চায় না এবং এটি করতে গেলে ঝুঁকি আছে।”

কিন্তু তারপরও দৃঢ়কণ্ঠে মে বলেছিলেন,  তিনি ব্রিটিশ জনগণকে বিশ্বাস করেন; আর একারণেই তিনি জনগণকেও তার ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছেন। দু’বছরের ব্রেক্সিট (ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া) প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ করতে যে কোনও সময়ের চেয়ে এখন একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দরকার- এমনটিই বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছিলেন মে।

যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেছিলেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে’ এ নির্বাচন তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সফল করতে সহায়ক হবে।

বুধবার মে’র আগাম নির্বাচনের এ প্রস্তাব হাউজ অব কমন্সে ভোটাভুটিতে শেষপর্যন্ত প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটেই পাস হয়েছে।

গতবছর গণভোটে যুক্তরাজ্যের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন, তিনি ইইউ’য়ে থেকে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। ক্যামেরনের পদত্যাগের পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা টেরিজা মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, গত ২৯ মার্চ ইউরোপী ইউনিয়নে চিঠি পাঠিয়ে তিনি ২৮ দেশের এই পরিবার থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াও শুরু করেন।

এর আগে একাধিকবার আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে আসা মে তার মন পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনার সময় তার নিজেকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন ছিল। কারণ ব্রেক্সিট আলোচনা ব্রিটেনকে নতুন রূপ দেবে এবং ইইউ’র ঐক্যের পরীক্ষা নেবে।

বিবিসি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এ (আগাম নির্বাচন) সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ আমি সত্যিই বিশ্বাস করি এর সঙ্গে পুরো জাতীর স্বার্থ জড়িত।”