টেরিজা মে ইতোপূর্বে ২০২০ সালের আগে নির্বাচন না ডাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন মন বদলে ৮ জুনেই আগাম নির্বাচন ডাকার পরিকল্পনা জানিয়েছেন।
তবে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের মুখপাত্র বলেছেন, ইইউ এর বাকী ২৭ টি দেশ পরিকল্পনামতই এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের কারণে আমাদের ইইউ২৭ পরিকল্পনা বদলাবে না। ইউরোপীয় কাউন্সিল ২৯ এপ্রিলেই ব্রেক্সিট নির্দেশিকা গ্রহণ করবে এবং এরপর ২২ মে তেই আলোচনার দিক নির্দেশনা প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। আর তা হয়ে গেলে ইইউ২৭ আলোচনা শুরু করতে পারবে।”
নির্বাচনের ঘোষণার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে’র সঙ্গে ফোনে ভাল কথপোকথন হয়েছে বলেও এক টুইটে জানান টাস্ক।
এক ইইউ কর্মকর্তা এবং ব্রেক্সিট আলোচনা বিষয়ক মুখপাত্র বিবিসি কে বলেছেন, তারা ব্রিটেনের এ নির্বাচন ঘোষণার ফলে আরও উন্নত আলোচনার পথ সুগম হবে বলেই আশা করছেন।
তারা বলেন, “এটি যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তবে আমরা আশা করছি, এতে করে লন্ডনে বলিষ্ঠ নেতার আগমন ঘটবে যিনি নির্বাচকমন্ডলীর শক্তিশালী সমর্থন নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবেন।”
তবে অনেকে আবার যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের কারণে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি এবং আরও অনিশ্চয়তা সৃষ্টিরও আশঙ্কা করছেন। ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি (ইপিপি) গ্রুপের মধ্য-ডান বেলজিয়ান সদস্য টম ভান্ডেনকান্ডেলায়েরে এক টুইটে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।