বিশ্বজুড়ে যে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক তৈরি হয় তার বেশিরভাগেই সাগরে গিয়ে মিশে সামুদ্রিক প্রাণী ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। এ ভাবনা থেকেই লন্ডনে ল্যাবরাটরির গবেষণায় তিন ব্রিটিশ শিক্ষার্থী তৃষ্ণা মেটাতে বানিয়েছেন এ পানির বুদবুদ। তারা এর নাম দিয়েছেন ‘ওহো’।
এটি দেখতে পানির একটি বড় বুদবুদের মতো। এই বুদবুদ বোতলজাত পানির ‘টেকসই বিকল্প’ হবে বলেই বিশ্বাস গবেষকদের।
তারা বলেন, যে কোনও ধরনের পানি বা তরল বলাকৃতির করে তা বাজারজাত করা সম্ভব। িএর উপরের খুবই পাতলা আবরণ সরিয়ে এটি খাওয়া যায় বা ওই আবরণসহও খাওয়াসম্ভব। হাত দিয়ে ধরলে এটি জেলির মতোই নরম ঠেকবে।
সোডিয়াম অ্যালগিনেট দিয়ে তৈরি দুটো পাতলা পর্দা রয়েছে ওহো তে। এ পাতলা পর্দার মধ্যেই থাকে পানি। জেলিফিকেশনের মাধ্যমে এটি তৈরি করা হয়। এমনিতে ওহো খেতে সাধারণ পানির মতোই।তবে এতে নানা রকম ফ্লেভারও যোগ করা যেতে পারে।
কোথাও গেলে খুব সহজেই সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায় ওহো। এর উৎপাদন খরচও প্লাস্টিকের পানির বোতলের তুলনায় কম বলে দাবি গবেষকদের।
শিল্প নকশা বিভাগে নানা পুরস্কার জয়ের পর ওহোর আবিষ্কারকরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের জন্য ‘স্কিপিং রকস ল্যাব’ নামে একটি প্যাকেজিং কোম্পানি খুলেছেন। সেখানেই তৈরি ওহোযুক্তরাজ্যজুড়ে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে।
ম্যারাথন ও সংগীত অনুষ্ঠানে ওহোর নমুনা পাঠানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
নিজেদের কোম্পানির জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে এবং ওহোর উন্নতিতে পরবর্তী গবেষণার জন্য তারা এ সপ্তাহের শুরুতে তহবিল সংগ্রহের ওয়েবসাইটে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তাদের প্রস্তাব দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। মাত্র তিন দিনে তাদের একাউন্টে প্রায় আট লাখ পাউন্ড জমা পড়ে।