ইইউ সদস্যপদ: ‘আগের চেয়েও দূরে তুরস্ক’

অতীতের অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য পদ পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম, বলেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল।

>>রয়টার্স
Published : 18 March 2017, 04:30 PM
Updated : 18 March 2017, 04:30 PM

জার্মানির সাপ্তাহিক পত্রিকা ডের স্পিগেল কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন গ্যাব্রিয়েল।শনিবার ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ পায়।

তুরস্ককে ইইউর সদস্য করা উচিত হবে কিনা সেটা নিয়ে সব সময়ই তিনি সন্দিহান ছিলেন বলেও জানান গ্র্যাব্রিয়েল। যদিও তার দল সোস্যাল ডেমক্রেটিক (এসপিডি) পার্টির অধিকাংশরই মত ভিন্ন।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেলও তুরস্ককে ইইউ সদস্যপদ দেওয়ার বিপক্ষে। ২০০৫ সালে চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নেওয়ার আগে এ বিষয়ে বেশ উচ্চকণ্ঠ ছিলেন মেরকেল। বরং এর পরিবর্তে তিনি ‘সুবিধাভোগী অংশিদারিত্ব’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

যদিও এই পরিকল্পনাও পছন্দ নয় গ্যাব্রিয়েলের।

তিনি মনে করেন, এর ফলে তুর্কিরা নিজেদের ইউরোপের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করবে।

তবে যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্তের পর নিজের মতে পরিবর্তন এসেছে বলে জানান এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ব্রেক্সিটের কারণে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পর দেশটির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপণের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

“এটা ইইউকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেবে।” 

প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা বাড়াতে সংবিধান সংশোধন নিয়ে ১৬ এপ্রিল তুরস্কে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

তুরস্কের অনেক নাগরিক ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাস করে। তাদের জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে র‌্যালির আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিলেন দেশটির মন্ত্রীরা।

নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি তুর্কি মন্ত্রীদের র‌্যালি আয়োজন করতে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান।

নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে আঙ্কারা। তুরস্ক বংশোদ্ভূত এক জার্মান সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করে। 

এছাড়া তুরস্ক-ইইউ অভিবাসন চুক্তি ছিন্ন করার হুমকিও দিয়েছেন এরদোয়ান।

গ্যাব্রিয়েল বলেন, এরদোয়ান তুরস্ক বংশোদ্ভূত অনেক মানুষ যারা জার্মানিতে বসবাস করেন তাদের সহানুভূতি নিজের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন।

তুরস্কের সব ধরণের উস্কানিমূলক আচরণ জার্মানির এড়িয়ে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

গ্যাব্রিয়েল তুরস্কের রাজনীতিবীদদের সতর্ক করে বলেন, জার্মান আইন সম্পূর্ণরূপে না মেনে র‌্যালি আয়োজনের চেষ্টা করবেন না।

“আইন অমান্য করে কেউই তার রাজনৈতিক আদর্শ এখানে বিস্তারের অনুমতি পাবে না।”