ট্রাম্প টাওয়ারে আড়িপাতার প্রমাণ নেই: সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে তার ফোনে আড়িপাতার যে অভিযোগ করেছেন, তা বাতিল করে দিয়েছে দেশটির সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি।

>>রয়টার্স
Published : 17 March 2017, 08:12 AM
Updated : 17 March 2017, 08:14 AM

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার কমিটির পক্ষ থেকে একটি দ্বিদলীয় বিবৃতিতে ট্রাম্পের ওই অভিযোগ বাতিল করে দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির রিপাবলিকান প্রধান রিচার্ড বুর এবং ডেমক্রেটিক উপ প্রধান মার্ক ওয়ারনার বলেন, “ আমাদের হাতে বর্তমানে যেসব তথ্য রয়েছে তার ভিত্তিতে, আমরা ২০১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বা পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দ্বারা ট্রাম্প টাওয়ারের উপর নজরদারির কোনো চিহ্ন খুঁজে পাইনি।”

গত বছর নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাসখানেক আগে ওবামা প্রশাসন তার ফোনে আড়ি পেতেছিল বলে এক টুইটে অভিযোগ করেন ট্রাম্প।

যদিও তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।

ওই অভিযোগের পর হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করতে দেখতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

যদিও এফবিআই প্রধান জেমস কোমি আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের কাছে ট্রাম্পের আড়িপাতার অভিযোগটি মিথ্যা এবং অবশ্যই সংশোধন করা দরকার বলে আর্জি জানান।

কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের শীর্ষ নেতা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার পল রায়ান বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফোনে আড়িপাতার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

“মোট কথা, ইন্টেলিজেন্স কমিটি রাশিয়াসহ সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত যে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাতে অন্তত এখন পর্যন্ত ট্রাম্প টাওয়ারের টেলিফোনে আড়িপাতার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

যদিও এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সিয়ান স্পাইসর জোর গলায় ট্রাম্পের অভিযোগের পক্ষে কথা বলেন।

নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্পের সহযোগীদের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের সম্ভাব্যতার যে ইঙ্গিত গোয়েন্দারা দিয়েছেন সেই প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে স্পাইসর বলেন, “ওই সময় নজরদারির কৌশল অবলম্বন নিয়ে প্রশ্নের কোনো অবকাশ নেই।”

ট্রাম্প তার ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ থেকে সরে আসবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্পাইসার বলেন, “তিনি নিজের দাবিতে অনড় আছেন।”

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ট্রাম্পের নজরদারির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে করা বিভিন্ন বক্তব্য ফলাও করে প্রচার হচ্ছে।

কিন্তু কর্মকর্তারা রাশিয়া ও ট্রাম্পের প্রচার দলের মধ্যে যোগাযোগ থাকার বিষয়টি নাকচ করে যে মন্তব্য করছেন সেগুলো তেমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে না।