ইইউ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘারিনি এবং ইইউ এনলার্জমেন্ট কমিশনার জোহানেস হান ওই আহ্বান জানান। কিন্ত এর ‘কোনও মানে হয় না’ বলে সমালোচনা করেছে তুরস্ক।
ইইউ নেদারল্যান্ডসের পক্ষ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। নেদারল্যান্ডসের কূটনৈতিক শিষ্টাচার এবং আইন ভঙ্গের বিষয়টিকে ইইউ আমলে নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুরস্কের।
মঘারিনি এবং হান সোমবার তুরস্ককে বাড়াবাড়িরকমের বিবৃতি দেওয়া এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটায় এমন কোনও কাজ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
নেদারল্যান্ডস-এ তুর্কি মন্ত্রীদেরকে গণভোটের প্রচার সমাবেশ করতে না দেওয়ার জেরে দেশটির কড়া সমালোচনা করাসহ একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে তুরস্ক।
ডাচ রাষ্ট্রদূতকে আঙ্কারায় নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক আলোচনা বন্ধ করা এমনকি দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বেরও ইতি টানা হবে জানিয়েছেন তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী।
নেদারল্যান্ডস তাদের অবস্থান না বদলানো পর্যন্ত এ সমস্ত পদক্ষেপ কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে শনিবার নেদারল্যান্ডসের রটেরডাম শহরে পুলিশ তুরস্কের দুই মন্ত্রীকে প্রচার সমাবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আঙ্কারা এর কঠোর পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকি দেয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ক্ষমতা আরও বাড়াতে ১৬ এপ্রিলে সংবিধান সংশোধন নিয়ে গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
তুরস্কের মন্ত্রীরা রটেরডামে তুর্কিদের উদ্দেশে এ গণভোটেরই প্রচার চালাতে গেলে তাতে বাধা দেয় নেদারল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ। পরে এক তুর্কি মন্ত্রীকে কনস্যুলেটে ঢুকতে না দেওয়া এবং পরে তাকে জার্মান সীমান্ত দিয়ে বের করে দেওয়া হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান ডাচদেরকে নাৎসির অবশিষ্টাংশ এবং ফ্যাসিস্ট বলে মন্তব্য করেন।
বিষয়টি নিয়ে বাড়তে থাকা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নেটো জোটের এ দুই মিত্র দেশের মধ্যে নজিরবিহীন কূটনৈতিক বিরোধ দেখা দিয়েছে।